আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা
আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা
সংস্কারের অগ্রগতি রক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে : ড. আসিফ নজরুল
সংস্কারের অগ্রগতি রক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে : ড. আসিফ নজরুল
পরিবেশ প্রশাসনে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শুরু হয়েছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ প্রশাসনে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শুরু হয়েছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫৯ জন জুলাইযোদ্ধার বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৫৯ জন জুলাইযোদ্ধার বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ
দারিদ্র্য বিমোচনে পদ্ধতিগত দুর্বলতা কাটাতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা
দারিদ্র্য বিমোচনে পদ্ধতিগত দুর্বলতা কাটাতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা
লাল, হলুদ ও সবুজ কেন্দ্রের পাহারায় থাকবে পুলিশ: বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি
মালয়েশিয়াগামীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়: ৬০ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মালয়েশিয়াগামীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়: ৬০ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়ায় চুক্তি লঙ্ঘন ও নিয়মবহির্ভূত অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি (ওভারসিজ কোম্পানি) এবং সেগুলোর স্বত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ মোট ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তরা সরকারি বিধি ভঙ্গ করে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে তা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে দুদক। আজ বুধবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদক জানায়, অভিযুক্তরা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে পরস্পর যোগসাজশে সিন্ডিকেট গঠন করেন। তারা বায়রার রেজিস্ট্রেশন শর্ত ভঙ্গ করে, সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ব্যয়ের বহুগুণ বেশি অর্থ শ্রমিকদের কাছ থেকে আদায় করেন এবং মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেন। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, চুক্তির আওতাভুক্ত নির্ধারিত সেবা-বাছাই, ফি গ্রহণ ও অর্থসংক্রান্ত নিয়ম এড়িয়ে কর্মীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, মেডিকেল পরীক্ষা ও অন্যান্য পর্যায়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব খাটিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে অবৈধ সুবিধা দেওয়া হয়। এভাবে অবৈধভাবে সংগৃহীত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থপাচারও হয়েছে বলে দুদক জানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(বি) ১৬১/১৬২/১৬৩/১৬৪/১৬৫(ক)/৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে ৪০টি ওভারসিজ রিক্রুটিং কোম্পানির বিরুদ্ধে পৃথক ৪০টি মামলায় মোট ১০৮ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এসব মামলায় আত্মসাতের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪৩৮ কোটি ৯৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা
পরিবেশ অধিদপ্তরকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা
নির্বাচনের তফসিল : বিটিভি-বেতারে সিইসির ভাষণ রেকর্ড
নির্বাচনের তফসিল : বিটিভি-বেতারে সিইসির ভাষণ রেকর্ড
পোস্টাল ভোট: নির্বাচনে নিয়োজিত ও সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন
পোস্টাল ভোট: নির্বাচনে নিয়োজিত ও সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি
আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আরও ২৪ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে : আসিফ নজরুল
আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আরও ২৪ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে : আসিফ নজরুল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপতিদের জন্য অবমাননাকর কনটেন্ট প্রচার করা যাবে না
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপতিদের জন্য অবমাননাকর কনটেন্ট প্রচার করা যাবে না
ডিসেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি
ডিসেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরের প্রথম নয় দিনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ সময় প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ১৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। গত বছর একই সময়ে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৯৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১৪ হজার ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১২ হাজার ৮৫ মিলিয়ন ডলার।
চট্টগ্রামে আমদানি নিষিদ্ধ ৪২০০ কেজি ঘনচিনি আটক
চট্টগ্রামে আমদানি নিষিদ্ধ ৪২০০ কেজি ঘনচিনি আটক
বিএপিএলসির নতুন সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ, সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ
বিএপিএলসির নতুন সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ, সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে চিতলমারীতে বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতা 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মালয়েশিয়াগামীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়: ৬০ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরিবেশ প্রশাসনে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শুরু হয়েছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
আজ ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস
পরিবেশ অধিদপ্তরকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা
১৫৯ জন জুলাইযোদ্ধার বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ডিসেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ
রাজশাহীতে ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭৭ জন 
প্রাথমিকের ৬৫,৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত
১০
আজ ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস
আজ ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস
।। আল-আমিন শাহরিয়ার।। ভোলা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আজ ১০ ডিসেম্বর দ্বীপ জেলা ভোলা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভোলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশ স্বাধীন হলেও ভোলা স্বাধীন হয়েছিলো তারও আগে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর। শক্রমুক্ত ভোলায় হাজারো মুক্তিকামী মানুষ সেদিন রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করেন। ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ভোলার লড়াকু সন্তানরা তখনকার ভোলা মহকুমার এসডিও অফিস বর্তমান জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের ছাদে উঠে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে উড়িয়েছিলেন লাল সবুজের স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা। ভোলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভোলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিজেদের জীবন বাঁচাতে ১০ ডিসেম্বর কার্গো লঞ্চযোগে ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা।  পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চলে যাওয়ার পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং শুরু হয় আনন্দ মিছিল। ১৯৭১-এ দেশ রক্ষায় সারাদেশের ন্যায় ভোলাতেও চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ, বাংলা স্কুল, টাউন স্কুল মাঠ ও ভোলা কলেজের মাঠের কিছু অংশে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখযুদ্ধ হয় ভোলার ঘুইংঘারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, বোরহানউদ্দিনের দেউলা ও চরফ্যাশন বাজারে। আর সম্মুখযুদ্ধে বিপুল সংখ্যক পাক সেনাকে হটিয়ে যুদ্ধে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন।  ভোলার খেয়াঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারের ধরে এনে হত্যা করে তেঁতুলিয়া নদীতে ফেলে দেয়া হত। ওইসময় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের রক্তে লাল হয়ে যেত মেঘনা- তেঁতুলিয়া নদীর লোনা পানি। বহু নারীকে ক্যাম্পে ধরে এনে রাতভর নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করে।  পাকিস্তানি হানাদারদের দ্বারা নির্যাতিত ৩০ জন বীরঙ্গনাকে ভোলার ওয়াপদা থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। আরো জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভোলা শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস চত্বর দখল করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ক্যাম্প বসায়। সেখান থেকে চালায় নানান পৈচাশিক কর্মকাণ্ড। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী নিরীহ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করে ওয়াপদা ভবনের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। সেটি এখন বধ্যভূমি।  এসব বধ্যভূমি ও সম্মুখযুদ্ধের রণাঙ্গনের স্থানগুলোর মধ্যে শুধু মাত্র ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বধ্যভূমি ও বাংলা বাজারে মুক্তিযুদ্ধের স্থান সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া ভোলার বর্তমান উপশহর বাংলা বাজারে মুক্তিযুদ্ধের স্থান সংরক্ষণের কাজ হলেও অন্যান্য বধ্যভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের অপর স্থানগুলো এখনো সংরক্ষণ করা হয়নি। ভোলার বাংলা বাজারে ১৯৭১ সালের ২৭ অক্টোবর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। এতে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই প্রাণ হারান।  মুক্তিযোদ্ধারা ভোলার অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যখন শহর নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুতি নেন, ঠিক সেই সময় (১০ ডিসেম্বর) ভোররাতে পাকিস্তানি হানাদাররা চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন মুক্তিযোদ্ধা কাজী জয়নাল ও ফিরোজের নেতৃত্বে ১৩ জনের একটি বাহিনী তাদের পেছন থেকে ধাওয়া করলে হানাদাররা ভোর ৫ টায় ভোলার পুরান লাশ কাটা ঘরের পাশে রাখা একটি কার্গো লঞ্চে চড়ে ভোলা থেকে পালিয়ে যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক এম এ তাহের বাসসকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভোলা ছিলো ৯ নং সেক্টরের মেজর জলিলের আন্ডারে। মুক্তিযোদ্ধারা দৌলতখান ও চরফ্যাশন থানায় আক্রমণ করে অস্ত্র সংগ্রহ করে। ওইসব অস্ত্র দিয়ে টনির হাট, দেউলা তালুকদার বাড়ি, বোরহানউদ্দিন বাজার, গুপ্তের বাজার ও গরুর চোখা এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। সেদিনের স্মৃতি কখোনো ভুলে যাবার নয়।  তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে মুক্তিকামী জনতা। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্রবাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে পাকিস্তানি হানাদারদের সব সদস্য নিহত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আলম নিরব মোল্লা জানান, তৎকালীন ভোলা পৌরসভার চেয়ারম্যানসহ শহরের একটি গ্রুপের সহায়তায় ১৯৭১ সালের ৬ মে দুপুর ১২ টায় বরিশাল থেকে লঞ্চযোগে ভোলার খেয়াঘাটে এসে নামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এ খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তে শহরের প্রায় বাড়িঘর ফাঁকা হয়ে যায়।  ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান সদস্য সচীব বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান বাসসকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের প্রতি রাতেই স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজন ধরে এনে হত্যা করত।  তিনি জানান, বিশেষ করে নারী ও যুবকরাই তাদের শিকারে পরিণত হত। এদেরকে নানান অত্যাচার নির্যাতন করে মেরে ওয়াপদার পূর্ব দিকের দেয়ালের বাইরে পুতে ফেলত। সন্ধ্যার পরে ট্রাকে করে লোকজনকে ভোলা খেয়াঘাট নিয়ে গুলি করে নদীতে ফেলে দিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।  এদিকে আজ ১০ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে ভোলার প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষ।  সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমানের নেতৃেত্ব একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা হয়।  এ সভায় জেলা প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
রাজশাহীতে ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
রাজশাহীতে ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
টাঙ্গাইলে ৪টি আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা
টাঙ্গাইলে ৪টি আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা
বসুন্ধরা গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বসুন্ধরা গ্রুপ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সুপ্রিম কোর্টে ৮ সদস্যের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি গঠন
সুপ্রিম কোর্টে ৮ সদস্যের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি গঠন
আগামীকাল সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধন
আগামীকাল সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধন
মানবতাবিরোধী অপরাধে সালমান-আনিসুলের বিরুদ্ধে শুনানি ১৭ ডিসেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধে সালমান-আনিসুলের বিরুদ্ধে শুনানি ১৭ ডিসেম্বর
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত সামলানোর আগেই নতুন বর্ষায় বিপাকে ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ মায়োতে
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত সামলানোর আগেই নতুন বর্ষায় বিপাকে ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ মায়োতে
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ভারত মহাসাগরের ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ মায়োতে এখনো চিডো ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যেই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। মামুদজু থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। রাজধানীর সমুদ্রতীরের এক রেস্তোরাঁয় কাজ করেন মেলি রাজাফিনদ্রাসোয়া। তিনি বলেন, ৯০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর কিছু ক্রেতা ফিরতে শুরু করায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। কিন্তু নিজের ঘর মেরামতের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ এখনো কোনো বীমা অর্থ পাননি তিনি। চিডো বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়, ধ্বংস করে হাজারো ঘরবাড়ি ও প্রধান দ্বীপের অর্ধেক প্রবালপ্রাচীর। তিনি জানান, ঝড়ে তাদের বাড়ির জানালা আর একটি দরজা উড়ে গিয়েছিল। তা নিজেরাই মেরামত করেছেন। কিন্তু বৃষ্টি হলেই শোবার ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। এখন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় তিনি আতঙ্কে থাকেন। বর্ষা শুরু হতেই তার প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। রাজাফিনদ্রাসোয়া বলেন, ‘শেষবার প্রচণ্ড বাতাস আর বৃষ্টি হয়েছিল। আমার সন্তানরাও এখনো চিডোর সেই ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।’ মায়োতের বিভিন্ন এলাকায় এখনো ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট। সাড়ে ৩ লাখের বেশি জনসংখ্যার এই অঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। মামুদজু’র অভিজাত এলাকাতেও রাস্তাজুড়ে পড়ে আছে ধ্বংসাবশেষ। মাত্র পাঁচ বছর আগে নির্মিত একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনও গত ১৪ ডিসেম্বরের চিডো ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়। আশপাশে পড়ে আছে ধাতব ফ্রেম, প্লাস্টার বোর্ড ও কাঠের তক্তা। ছাদ উড়ে যায়, ধ্বংস হয় ওপরতলার সব অ্যাপার্টমেন্ট। ভবনটির নিচতলার বাসিন্দা আনলি বলেন, বৃষ্টির পানি এখনো সিলিং দিয়ে ঢুকে পড়ে। এখনো কিছুই মেরামত করা হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের পর বিদ্যালয়গুলো দ্রুত পুনর্নির্মাণে ফরাসি কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেও বহু বাড়ি ও সরকারি ভবন এখনো মেরামতের অপেক্ষায় রয়েছে। আবাসন বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা ‘ফাউন্ডেশন ফর হাউজিং’ জানায়, মায়োতের প্রায় ৬০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। মায়োতের প্রধান আবাসন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘সোসিয়েতে ইমোবিলিয়েরে দ্য মায়োত’-এর প্রধান আহমেদ আলি মন্দ্রোহা বলেন, তাদের ১ হাজার ৬০০ ভাড়াবাড়ির মধ্যে প্রায় ৫০০টি মেরামত করা হয়েছে, ৬০০টির কাজ এখনো বাকি। মায়োতের বিল্ডিং ফেডারেশনের সভাপতি জুলিয়ান শঁপিয়া জানান, আগে যেখানে নির্মাণসামগ্রী পৌঁছাতে দুই মাস লাগত, চিডো আঘাতের কারণে এখন সময় লাগছে চার মাস। মূল বন্দর লংগোনিতে কনটেইনারের জটের কারণে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সেও দেরি হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রধান ব্যবসায়ী সংগঠন মেডেফ-এর মায়োতে শাখার প্রধান ফাহারদিন মোহামেদ বলেন,‘এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক।’ ঘূর্ণিঝড় অর্থনীতিতেও বড় আঘাত হেনেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই অতিরিক্ত খরচ বহন করতে পারছে না। ফ্রান্সের প্রধান ব্যবসায়ী সংগঠন মেডেফ-এর মায়োতে শাখার প্রধান ফাহারদিন মোহামেদ বলেন, ‘এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক।’  মায়োতের মোট অর্থনীতির প্রায় ৭০ শতাংশ আসে সরকারি খাত থেকে সেখানেও এখন তহবিল সংকট রয়েছে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কাছের একটি সরকারি দপ্তরের কর্মী জানান, তার অফিসও ব্যবহারযোগ্য নয়। চারদিকে পানি ঢুকে পড়েছে, বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।  তিনি বলেন, এখনো কিছুই ঠিক হয়নি। কর্তৃপক্ষের হাতেও অর্থ নেই। হাউজিং ফাউন্ডেশন জানায়, বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও মায়োতের হাজারো মানুষ এখনো মানসম্মত ও বাসযোগ্য ঘর পাচ্ছেন না।
পাকিস্তানের একটি ভিডিওকে বাংলাদেশের বলে ভারত থেকে অপপ্রচার শনাক্ত করেছে বাংলাফ্যাক্ট
পাকিস্তানের একটি ভিডিওকে বাংলাদেশের বলে ভারত থেকে অপপ্রচার শনাক্ত করেছে বাংলাফ্যাক্ট
ভুয়া ফটোকার্ড দিয়ে রাজনৈতিক দলের নামে বিভ্রান্তি শনাক্ত ফ্যাক্টওয়াচের
ভুয়া ফটোকার্ড দিয়ে রাজনৈতিক দলের নামে বিভ্রান্তি শনাক্ত ফ্যাক্টওয়াচের
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে নির্বাচিত ২৫ এজেন্সির ভুয়া তালিকা শনাক্ত : ফ্যাক্টওয়াচ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে নির্বাচিত ২৫ এজেন্সির ভুয়া তালিকা শনাক্ত : ফ্যাক্টওয়াচ
ইকুয়েডরের পুরোনো হত্যাকাণ্ডের ভিডিওকে বর্তমান সরকারের ঘটনা দাবি: বাংলাফ্যাক্ট
ইকুয়েডরের পুরোনো হত্যাকাণ্ডের ভিডিওকে বর্তমান সরকারের ঘটনা দাবি: বাংলাফ্যাক্ট
টানা দুই বছর এমএলএস’র এমভিপি এ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি
টানা দুই বছর এমএলএস’র এমভিপি এ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি
এ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেন কামিন্স
এ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেন কামিন্স
এই পদক আমার কাছে ‘বিশেষ’ : ঋতুপর্না
এই পদক আমার কাছে ‘বিশেষ’ : ঋতুপর্না
বরিশাল-সিলেট ম্যাচ ড্র’তে এনসিএলে চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ
বরিশাল-সিলেট ম্যাচ ড্র’তে এনসিএলে চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে পার্বত্য জেলা পরিষদ গোল্ডকাপ ফুটবল শুরু
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে পার্বত্য জেলা পরিষদ গোল্ডকাপ ফুটবল শুরু
বিপিএলে সিলেটের হয়ে বড় সাফল্যের জন্য উদগ্রীব আমির
বিপিএলে সিলেটের হয়ে বড় সাফল্যের জন্য উদগ্রীব আমির
মুন্সীগঞ্জে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
মুন্সীগঞ্জে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিল্পকলায় ‘চরিত্রহীন' মঞ্চায়িত হবে কাল
শিল্পকলায় ‘চরিত্রহীন' মঞ্চায়িত হবে কাল
শিল্পকলায় ১১-২২ ডিসেম্বর নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী 
শিল্পকলায় ১১-২২ ডিসেম্বর নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী 
শিল্পকলায় ‘সিরাজ উদ দৌলা’ মঞ্চায়িত হবে কাল
শিল্পকলায় ‘সিরাজ উদ দৌলা’ মঞ্চায়িত হবে কাল
চেনা ছকেই জাদু : বছরের শেষ ব্লকবাস্টার হতে পারে ‘অ্যাভাটার ৩’
চেনা ছকেই জাদু : বছরের শেষ ব্লকবাস্টার হতে পারে ‘অ্যাভাটার ৩’
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭৭ জন 
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭৭ জন 
দেশে মানসিক চিকিৎসা গবেষণায় পর্যাপ্ত বাজেটের ঘাটতি রয়েছে: ডা. নূর আহমেদ
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২১ জন
নাটোরে তিনটি মডেল মসজিদ উদ্বোধন আগামীকাল
নাটোরে তিনটি মডেল মসজিদ উদ্বোধন আগামীকাল
বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী মালয়েশিয়া: হাইকমিশনার
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মোগল আমলের ইদ্রাকপুর দুর্গ
সাতক্ষীরায় আমন ধান নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় আমন ধান নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
দিনাজপুরে বোরো চাষে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সংরক্ষণ জরুরি : বিশেষজ্ঞরা