ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের : পরিবেশ উপদেষ্টা
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের : পরিবেশ উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
ঢাকায় ভূমিকম্পের ঘটনায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংহতি প্রকাশ
ঢাকায় ভূমিকম্পের ঘটনায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংহতি প্রকাশ
ভুমিকম্প নিয়ে এআই ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা 
ভুমিকম্প নিয়ে এআই ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা 
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
আস্থার সংকটে বিদেশমুখী হচ্ছেন রোগীরা : ডা. শাকিল গনি
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে : আমীর খসরু
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে : আমীর খসরু
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি গত প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে। তবে লড়াই এখনও শেষ হয়নি।  আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সিপাহীুজনতা সংহতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষ্যে 'ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের ঘটনা প্রবাহ: জিয়াউর রহমান ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গণতন্ত্রের প্রধান বাহক নির্বাচন। অথচ সেই নির্বাচন বানচাল করতে বিভিন্ন চক্র নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা মূলত দেশের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত করতে চায়। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণই সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলেও দাবী করেন তিনি । 'গণতন্ত্র ও বিএনপি' একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া বিএনপি চলতে পারে না, ঠিক তেমনি বিএনপিকে ছাড়া গণতন্ত্র সম্পন্ন হয় না। এদেশে বিএনপিই হল গণতন্ত্রের জনক। দেশের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তর সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই বাকশাল হটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য জানান, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন আপসহীন থেকেছেন, জেল খেটেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে আছেন। সেখানে থেকেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।  আমীর খসরু বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। তাই ভেদাভেদ ভুলে সবাই দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে তাকে বিজয়ী করুন। কারণ 'ব্যক্তির চেয়ে দল বড়' এই শ্লোগানে বিশ্বাস করে বিএনপি।
ভূমিকম্পে পুরান ঢাকায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, লক্ষ্মীপুরে শোকের মাতম
ভূমিকম্পে পুরান ঢাকায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, লক্ষ্মীপুরে শোকের মাতম
অর্ধশতাধিক অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান
অর্ধশতাধিক অসহায় পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এপিএম টার্মিনালসের ঐতিহাসিক পিপিপি চুক্তি
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এপিএম টার্মিনালসের ঐতিহাসিক পিপিপি চুক্তি
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ জারি
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ জারি
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে : প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে : প্রধান উপদেষ্টা
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) আজ ঢাকার হোটেল শেরাটনে ‘ডিসকাশন অন লঞ্চিং কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইনবাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে।  এতে বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেয়ারম্যানগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী এবং সিএসইর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর সাবেক সভাপতি এমকেএম মহিউদ্দিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ড. মাহমুদ হাসান, এম জুলফিকার হোসেন, মেজর (অবঃ) এমদাদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপনা করেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার। এ সময় সিএসইর সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার তার অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী ঋণ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দেয়া পরিচালনা করে। অথচ পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্র হলেও এতে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য মার্কেটে প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন আনতে হবে। সেজন্য আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে।  আমির খসরু বলেন, বন্ড, কমোডিটিসহ নতুন প্রোডাক্ট যত দ্রুত চালু হবে তত দ্রুত অর্থনীতি সুগঠিত হবে। আপনারা যারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এসেছেন আপানাদেরকেই ভুমিকা নিতে হবে, সিএসইর এই নতুন মার্কেট স্থাপনে আপানদের সক্রিয় অংশগ্রহন করতে হবে। এখানে যে ইনভেস্ট করবেন সেই ইনভেস্টমেন্ট হবে আপনার ব্যালেন্স শিটের একটি নিউ উইন্ডো। তিনি বলেন, দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশি ভাইয়েরা এই দেশে বিনিয়োগ করতে চায়, নতুন যে কোন ভাল উদ্যোগে তারা আসতে আগ্রহী। আমাদের সেজন্য কাজ করতে হবে এবং নতুন ইনভেস্টমেন্টের জন্য উদ্যোগী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, ডেরিভেটিভস মার্কেট একটি বিশাল সম্ভাবনার বাজার যা অর্থনীতিকে গতিশীল করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। আর পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সিএসইর এই কমোডিটি মার্কেট স্থাপনের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং আসুন সবাই মিলে একে সফল করি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধারণা এবং পুঁজিবাজারের জন্য নতুন অ্যাসেট ক্লাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কমোডিটি ইকোসিস্টেমে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে উন্নত বাজার-ব্যবস্থা গঠন সহজতর হবে। ফলে সুনিয়ন্ত্রিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট গঠনের মাধ্যমে প্রাইস ডিসকভারি ও হেজিং সুবিধার পাশাপাশি সৃষ্টি হবে নতুন বিনিয়োগ, যা প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম সিএসই প্রতিষ্ঠায় এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আমির খসরুর পূর্বের গতিশীল ভূমিকা স্মরণ করেন।  তিনি বলেন, আজকের মতবিনিময় সভা এক ধরণের সচেতনতামূলক সভা। সিএসই বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সফল হব বলে আশা করছি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমকেএম মহিউদ্দিন বলেন, সিএসই টিমের প্রস্তুতি এবং দৃঢ়তা প্রশংসনীয়। অর্থাৎ আজকের উপস্থাপনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে রেসপন্স দেখে আমরা বুঝতে পারছি ইতিমধ্যে সিএসই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস দৃশ্যমান।  তিনি বলেন, যেহেতু কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ধারনাটি আমাদের সবার কাছে নতুন, তাই সবাইকে অনেক জানতে হবে শিখতে হবে। সেজন্য শুরু করাটা জরুরী।  ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, অনেক আগে একবার উদ্যোগ নেয়া হলেও কমোডিটি মার্কেট স্থাপিত হয়নি। আজকে সিএসইর এই সাহসী উদ্যোগকে আমাদের স্বাগত জানাতে হবে এবং সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।  তিনি বলেন, একদিনে আমরা সব বুঝতে পারবো না, শুরু হলে ধীরে ধীরে বিষয়গুলো আমরা সবাই বাস্তবিকভাবে বুঝতে পারবো। সারা বিশ্বজুড়ে এই মার্কেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে । আশা করছি,আমাদের দেশেও এই নতুন মার্কেট অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। সভায় উপস্থিত অংশীজন ও আলোচকগণ কমোডিটি ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্মের সম্ভাব্য ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তারা বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা, পরিচালন কাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব তুলে ধরেন। তারা ডেরিভেটিভ মার্কেট গঠনে স্বচ্ছতা, কাঠামোবদ্ধতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন সামান্য বৃদ্ধি
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন সামান্য বৃদ্ধি
বিজিএমইএ-এসআইসিআইপি প্রকল্পে ১১৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান
বিজিএমইএ-এসআইসিআইপি প্রকল্পে ১১৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান
কুমিল্লায় তারুণ্যের উৎসবে তারুণ্য নির্ভর আলোচনা সভা 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে আরেকটি শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ
ভুমিকম্প নিয়ে এআই ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা 
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করার তোড়জোড় শুরু
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের : পরিবেশ উপদেষ্টা
কুমিল্লায় ইমাম-খতীব সম্মেলন কাল 
১ টাকায় চা, ১ টাকায় পেঁয়াজু বিক্রি করে সফল নীলফামারীর আপন
গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভাঙার আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে : আমীর খসরু
রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প
১০
বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করার তোড়জোড় শুরু
বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করার তোড়জোড় শুরু
কালাম আজাদ বগুড়া, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের কোলে গড়ে ওঠা বগুড়াকে শহরকে সমৃদ্ধ বলা হয় বহুমাত্রিক কারণে। এই শহরের গতিশীল অর্থনীতি, রাজনৈতিক কাঠামো কিংবা ভৌগলিক অবস্থান উত্তরের অন্যান্য জেলা থেকে ভিন্ন। আয়তনেও দেশের অন্যতম বৃহৎ পৌরসভা বগুড়া। এর বয়স প্রায় দেড়শ বছর।  এরই মধ্যে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি এক চিঠিতে বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার জন্য গণবিজ্ঞাপ্তি জারি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত ও আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শহরে শতাধিক অনুমোদনহীন বহুতল ভবন, লোকালয়ের মধ্যেই প্রায় দেড় হাজারের বেশি হালকা প্রকৌশল শিল্পের কারখানা, খানা-খন্দে ভরপুর গলি সদৃশ্য রাস্তা, অপরিকল্পিত নালা, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনায় নাকাল নগরবাসী। বগুড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন পৌরসভা গঠনের পাঁচ বছরের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর পুরাতনগুলোর ক্ষেত্রে পৌরসভা আইন হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান করতে বলা হয়েছে। বিগত সময়ে পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের ৩২৮টি পৌরসভার মধ্যে ২৫৫টির মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করে সরকার। এসবের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে প্রণীত ২৫০টি পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ গেজেট প্রকাশের আগেই শেষ হয়ে যায়। এসব পরিকল্পনা বিভিন্ন ধাপে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালে নেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু পৌরসভায় মাস্টারপ্ল্যান নেওয়াও হয়েছে। কিন্তু প্রথম সারির পৌরসভা হয়েও প্রাচীন এই শহরটি বঞ্চিত থেকে গেছে। মহাপরিকল্পনা বা মাস্টারপ্ল্যান হলো কোনো অঞ্চল বা শহর সুন্দরভাবে গড়ে তোলার ব্যবস্থাপনা। অর্থাৎ কতটুকু জায়গায় বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, মার্কেট, স্কুল-কলেজ, খেলার মাঠ, সবুজ অঞ্চল, জলাশয় ও শিল্প-কারাখানা হবে তা নির্ধারিত থাকে মাস্টারপ্ল্যানে। ওই নির্দেশনা অনুসরণ করেই জায়গার উন্নয়ন করা হয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বা শহরের ভূমির শ্রেণি, উন্নয়নের ধরন, মানুষের জীবনাচরণ ও চাহিদা বিবেচনা করে ‘নির্দিষ্ট’ সময়ের জন্য মাস্টারপ্ল্যান ডকুমেন্টস তৈরি করা হয়। বগুড়া পৌরসভার সাম্প্রতিক বাজেটের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বগুড়া পৌরসভা। কালক্রমে আয়তন বাড়তে বাড়তে এখন ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটার। ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বগুড়া পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এ পৌরসভায় ১ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার সড়ক এবং ১ হাজার ২১০ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এর মধ্যে ৪৫০ কিলোমিটার পাকা সড়কের বেশির ভাগই ভাঙা। এছাড়া কাঁচা সড়ক রয়েছে প্রায় ২৮৬ কিলোমিটার। একইভাবে অধিকাংশ এলাকায় অনেক কাঁচা ড্রেন আছে। শহরের হালচিত্র নিয়ে ব্যাপক হতাশা ফুটে ওঠে বগুড়া পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে। পৌরসভা কিংবা সিটি করপোরেশনের জন্য পরিকল্পিত নগরায়নের বিকল্প নেই বলে জানান শহরের মালতিনগর এলাকার বাসিন্দা ও সুশাসনের জন্য নাগরিক বগুড়া শাখার সদস্য তাহমিনা পারভীন শ্যামলী। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে বগুড়া শহরের সমস্যাগুলো প্রতিদিনই ভোগায়। রাস্তায় এলোমেলো যানবাহন, যেখানে সেখানে যানযট বাধে। যে যার মতো বাড়িঘর নির্মাণ করে রেখে দিয়েছে। ড্রেনগুলো ছোট, অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনও নেই। প্রতিটি পাড়া, গলিতে ময়লার স্তুপ চোখে পড়ে। শহরের চেলোপাড়ার বাসিন্দা শাহজাহান আলী জানান, তার বাড়ি থেকে অল্প দূরেই করতোয়া নদী। বসতি গড়ার সময় অনেকে ড্রেনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছাড়েনি। ফলশ্রুতিতে একটু বৃষ্টি হলে রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। বাসা-বাড়ির আবর্জনা আর বর্জ্য গিয়ে নদীতে পড়ে। আবার পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেন ব্যবস্থার জন্যও পানি নিষ্কাশন হয় না। ভোগান্তির শেষ নেই। একইচিত্র শহরের কলোনী, খান্দার, সূত্রাপুরের।ড্রেনগুলোর স্বল্প ধারণ ক্ষমতার কারণেই মানুষকে বছরের পর বছর ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, পৌরসভার মধ্যে অনেকেই ইচ্ছে মতো বাড়িঘর নির্মাণ করছেন। এতে তৈরি হচ্ছে যানজট, জলজট, বায়ুদূষণসহ বহুমুখী দুর্যোগ। পরিবেশবান্ধব ও বসবাসযোগ্য নগর গড়তে হলে অবশ্যই এখন এই শহরের মাস্টারপ্ল্যান দরকার। আবাসন ব্যবসায়ী আলী আখতিয়ার তাজু বলেন, উন্নয়ন আর কলকারখানার নামে বগুড়া পৌরসভার মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা অবস্থা। পৌরসভায় কোনো ময়লার ভাগাড় নেই। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা। বগুড়া সিটি করপোরেশন হওয়ার সময়ের দাবি। কিন্তু এর জন্য শহরকে বসবাসের উপযোগী করতে হবে। পৌরসভা কিংবা সিটি করপোরেশন হোক, বিশৃঙ্খলা নিরসনে নতুন করে মাস্টারপ্ল্যান অবশ্যই দরকার। বগুড়া পৌরসভায় অন্তত ৬৪ হাজার বসতবাড়ি আছে। এর মধ্যে অনুমোদন ছাড়া নির্মাণ করায় অন্তত ১৪০টি ভবনকে অবৈধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।  পৌরসভার আইন শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরে অন্তত ২৫০টি অভিযোগ জমা হয় এখানে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়ি নির্মাণ, জায়গার সীমানা নিয়ে জটিলতা, মানুষের চলাচলের রাস্তা ও ড্রেনের প্রয়োজনীয় জায়গা না ছাড়াকে কেন্দ্র করেই এসব অভিযোগ হয়ে থাকে। কিছু অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়, কিছু মাসের পর মাস চলতে থাকে। বগুড়া পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ আল মেহেদী হাসান জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক একটা পৌরসভা গঠনের পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করতে হবে। অথচ বগুড়া পৌরসভার বয়স প্রায় দেড়শ বছর হতে চলেছে, কিন্তু কোনো মাস্টারপ্ল্যান নেই। এর মধ্যে বগুড়াকে সিটি করপোরেশন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বগুড়া পৌরসভার প্রশাসক মাসুম আলী বেগ বলেন, মাস্টারপ্ল্যানের জন্য আমরা সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছি। মাস্টারপ্ল্যান না থাকায় আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। বাণিজ্যিক, আবাসিক সব এক জায়গা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি পাওয়ার পর বাসিন্দাদের মতামত, আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
কুমিল্লায় ইমাম-খতীব সম্মেলন কাল 
কুমিল্লায় ইমাম-খতীব সম্মেলন কাল 
লিগ্যাল এইড-এর মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়
লিগ্যাল এইড-এর মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়
বার কাউন্সিলের রিভিউ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে ন্যাশনাল লইয়ার্স এলায়েন্স
বার কাউন্সিলের রিভিউ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে ন্যাশনাল লইয়ার্স এলায়েন্স
মেজর সিনহা হত্যায় হাইকোর্টে আসামিদের দণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
মেজর সিনহা হত্যায় হাইকোর্টে আসামিদের দণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
আইসিটি প্রসিকিউশনে বৈশ্বিক অ্যাম্বাসেডর ও উপদেষ্টা নিয়োগ
আইসিটি প্রসিকিউশনে বৈশ্বিক অ্যাম্বাসেডর ও উপদেষ্টা নিয়োগ
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে আরেকটি শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ
রাশিয়ার আক্রমণের মুখে আরেকটি শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ
ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : যুদ্ধকালীন কিয়েভে সূর্যাস্তের পর এখন অন্ধকার রাস্তায় কেবল যেন ছায়ামূর্তিরা চলাচল করে আর মাঝেমধ্যে কুকুরের আলো-ঝলমলে গলাবন্ধ থেকে কিছুটা আলো জ্বলে ওঠে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এবারই সম্ভবত ইউক্রেন সবচেয়ে কঠিন শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।  খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। রাশিয়ার ২০২২ সালে আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর দেশটি লাগাতার আঘাত হেনে আসছে। কিন্তু এ বছর আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। সূর্যাস্তের পর যুদ্ধকালীন কিয়েভ মানে এখন অন্ধকার রাস্তা আর ক্ষণস্থায়ী সিলুয়েট, মাঝে মাঝে ম্লান আভা থেকে আলো। শান্তির বিনিময়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনা উপস্থাপনের ফলে ইউক্রেন যখন বিচলিত হচ্ছে, ঠিক তখনই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের রাজধানীর বাসিন্দারা সবচেয়ে কঠিন শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।  রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে নিরলসভাবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।  যাদের পূর্ববর্তী বছরগুলোতে কৌশল ছিল সহ্য করা, তারা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে। দিমিত্রো কুস্তভের নৃত্য স্টুডিওর আলো রাস্তায়ও পড়ছিল। ভেতরে ছিল উষ্ণতা এবং বৈদ্যুতিক স্পিকার থেকে পপ সঙ্গীত ভেসে আসছিল। স্টুডিওটির মালিক দিমিত্রো কুস্তভ এএফপিকে বলেন, ‘শেষ ব্ল্যাকআউট শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আমি ফোন করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই সব কিছু ঠিক করে নেওয়া দরকার।’ তিনি আরো বলেন, এটি ছাড়া, বিদ্যুৎ প্রতিদিন দুবার চার ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে যেত। ২৯ বছর বয়সী কুস্তভ বলেন, ‘মানুষের জন্য এখন উষ্ণ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জন্য কিছু আশা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার এখানে সর্বদা আলোর প্রয়োজন, যাতে মানুষ আসতে পারে, প্রশিক্ষণ নিতে পারে ও যোগাযোগ করতে পারে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমেই তারা এই সমস্ত আবেগ প্রকাশ করতে পারে।’ রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলায় জর্জরিত ইউক্রেন দেশটির গ্যাস নেটওয়ার্কের ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করেনি। তবে স্থানীয় মিডিয়া অনুমান করেছে যে দেশটির উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কিয়েভ বলেছে, এই শীতকাল কাটানোর জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত জ্বালানির মজুদ রয়েছে। তবে ট্রান্সমিশন অবকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এছাড়াও এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে যে নতুন আক্রমণের ফলে ইউক্রেনের রাজধানীতে হিমাঙ্কের তাপমাত্রার সময় ব্যাপক তাপীকরণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।  কিয়েভে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বাস করে। কুস্তভ স্বীকার করেন, ‘এই বিষয়টি একটু চাপের।’  কিন্তু তিনি আরও বলেন, ‘আমার মস্তিষ্ক সম্ভবত এর সঙ্গে এতটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছে যে দুর্ভাগ্যবশত, বিদ্যুৎ বিভ্রাট কেবল দৈনন্দিন জীবন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।’ তার ব্যাটারি হয়তো আলো জ্বালাতে পারে। কিন্তু যদি ঘন্টার পর ঘন্টা গরম করার যন্ত্র বন্ধ থাকে, তাহলে তার কাছে আর কোন সমাধান নেই। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব।’  রাতভর বেশ কয়েকটি রাশিয়ান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।  এই হামলা সম্পর্কে বিমান বাহিনীর একটি প্রতিবেদন এবং জাতীয় জ্বালানি সরবরাহকারী ইউক্রেনারগোর একটি বার্তা রয়েছে। রাশিয়ার হামলার এ ধরনের খবর ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য নিয়মিত ঘটনা। প্রতিদিনই প্রায় একই ধরণের খবর প্রচার হয়। খবরে আরো বলা হয়, ‘রাশিয়ান আক্রমণের ফলে, ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আরোপ করা হবে।’ খবরগুলোতে কখনও কখনও, ‘বেশিরভাগ অঞ্চল’ জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। মাঝে মাঝে, ‘সমস্ত অঞ্চলে’ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথাও জানানো হয়। কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চল পর্যায়ক্রমিক ব্ল্যাকআউটের সময়সূচিতে রয়েছে। ৬৬ বছর বয়সী ভলোদিমির ও তার স্ত্রী ৬৪ বছর বয়সী তেতিয়ানা রাতে ঘুম থেকে উঠে গোসল করেন, কাপড় ধৌত এবং ব্যাটারি রিচার্জ করেন। রাজধানীর নিজের ছোট্ট বাড়িতে বাস করা ভলোদিমির এএফপিকে বলেন, ‘আমি আমাদের পূর্বপুরুষদের ব্যবহৃত জিনিসে ফিরে এসেছি -- কেরোসিনের বাতি।’ ধীরে ধীরে বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে তারা ব্যাটারি, জেনারেটর, রিচার্জেবল লাইটবাল্ব ও গ্যাস ক্যানিস্টার ‘মজুদ’ করছেন। ভলোদিমিরের বারান্দায় একটি ধুলোময় গ্যাসের চুলা সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছে, যখন তার সমস্ত ব্যাক-আপ পাওয়ার উৎস ফুরিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘যদি গ্যাস না থাকে, তাহলে জ্বালানি কাঠ দিয়ে চাহিদা মেটাতে হবে। এগুলো আমার কাছে আছে।’ কিন্তু তেতিয়ানা অতোটা নিশ্চিত নন।  তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী বলছেন যে তিনি চিন্তিত নন, কিন্তু আমি চিন্তিত।’ তিনি তার ৮৫ বছর বয়সী খালার জন্য চিন্তিত, যিনি একা একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন এবং এত প্রস্তুতি নিতে পারেন না। যুদ্ধের প্রথম পূর্ণ শীতকাল ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে অকার্যকর থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। অনেক ইউক্রেনীয়র জন্য এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে কঠিন ছিল। তিনি বলেন, ‘মানুষ অনেক দিন ধরেই ভেবেছিল যে এই পরিস্থিতি নিজেই সমাধান হয়ে যাবে, এটা কেটে যাবে।’ "ঠিক যেমন আমরা ভেবেছিলাম যুদ্ধ শুরু হবে না।" তিন বছর পর, সেই মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গৃহ উন্নয়ন হাইপারমার্কেট চেইন এপিসেন্টার, ৩ অক্টোবরের একটি বড় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর জেনারেটর বিক্রি তিনগুণ এবং পাওয়ার ব্যাংক ও ক্যাম্পিং বার্নারের দাম আটগুণ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। এ সব খরচ ও সামর্থ অবশ্যই একটি বড় বাধা। ভলোদিমির বলেন, ‘সবাই জেনারেটর বা হিটার কিনতে পারে না। সবার সেই সামর্থ নেই।’ কুস্তভ তার স্টুডিও ঠিক করার জন্য প্রায় ১ হাজার ১০০ ডলার খরচ করেছেন, যা গড় মাসিক বেতনের দ্বিগুণ। মহড়া থেকে বিরতির সময়, নৃত্যশিল্পীদের লিফট বন্ধ থাকা অবস্থায় ২০ তলায় উঠতে হয়। নৃত্যশিল্পীদের একজন বলেন, বোমা হামলা ‘ক্রমশ খারাপ হচ্ছে’ এবং এটা ‘অনেকটাই ২০২২ সালের অভিজ্ঞতা পুনরায় ফিরে আসার মতো অবস্থা।’
ভুমিকম্প নিয়ে এআই ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা 
ভুমিকম্প নিয়ে এআই ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা 
ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত ফ্যাক্টওয়াচের
ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত ফ্যাক্টওয়াচের
এআই তৈরি ভিডিও ছড়িয়ে গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচার 
এআই তৈরি ভিডিও ছড়িয়ে গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচার 
রয়টার্স মন্তব্য করেনি এমন বিষয়ে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট
রয়টার্স মন্তব্য করেনি এমন বিষয়ে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট
আয়ারল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৫০৯ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৫০৯ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
৪৯১ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
৪৯১ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
লালমনিরহাটে ক্রিকেটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে : আসিফ আকবর
লালমনিরহাটে ক্রিকেটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে : আসিফ আকবর
নারী আইপিএল নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
নারী আইপিএল নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
স্টার্ক-স্টোকসের বিধ্বংসী বোলিংয়ের অ্যাশেজের প্রথম দিন ১৯ উইকেট পতন
স্টার্ক-স্টোকসের বিধ্বংসী বোলিংয়ের অ্যাশেজের প্রথম দিন ১৯ উইকেট পতন
সাকিবের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তাইজুল
সাকিবের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তাইজুল

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ২২ নভেম্বর, ২০২৫
ফ্রিদা কাহলোর চিত্রকর্ম বিক্রি হলো রেকর্ড মূল্যে, নারী শিল্পীর মধ্যে সর্বোচ্চ
ফ্রিদা কাহলোর চিত্রকর্ম বিক্রি হলো রেকর্ড মূল্যে, নারী শিল্পীর মধ্যে সর্বোচ্চ
দস্তয়ভস্কির ছোটগল্প নিয়ে নাটক ‘ভাসানে উজান’র উদ্বোধনী মঞ্চায়ন শুক্রবার
দস্তয়ভস্কির ছোটগল্প নিয়ে নাটক ‘ভাসানে উজান’র উদ্বোধনী মঞ্চায়ন শুক্রবার
নেত্রকোণায় সাদা মাটির পাহাড়ে দিনব্যাপী কবিতা উৎসব
নেত্রকোণায় সাদা মাটির পাহাড়ে দিনব্যাপী কবিতা উৎসব
রংপুরে আট দিনব্যাপী বইমেলা শুরু
রংপুরে আট দিনব্যাপী বইমেলা শুরু
রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প
রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আজ হাসপাতালে ভর্তি ৪৩৬ জন
আজ ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪৫ জন
সুন্দরবনের ইকো রিসোর্ট পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা
সুন্দরবনের ইকো রিসোর্ট পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা
লালমাই পাহাড়ে প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের প্রথম ‘ফরেস্ট মিউজিয়াম’
পঞ্চগড়ের মেঘমুক্ত আকাশে ধরা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা
মেহেরপুরের আমন ধানের অধিক ফলন
মেহেরপুরের আমন ধানের অধিক ফলন
গাছি ও চাষি সংকটে পটুয়াখালীর খেজুর রসের ঐতিহ্য হারানোর শঙ্কা
বাংলাদেশ ও জাপানের কৃষি বিষয়ক যৌথ কার্যকরী গ্রুপের ২য় সভা অনুষ্ঠিত