আফ্রিকার ৬ দেশে রয়েছে রুশ সেনা উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আফ্রিকার ছয় দেশে রাশিয়ার সেনাবাহিনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটি। আফ্রিকায় মস্কোর সামরিক উপস্থিতি নিয়ে এটি বিরল স্বীকারোক্তি।
মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইউক্রেনে আক্রমণের পর পশ্চিমা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মস্কো। দেশটি আফ্রিকায় নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি করেছে।
গতকাল রোববার সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি আরটি’র একজন সংবাদদাতা বলেন, রুশ সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটের কর্মকর্তা ও সৈন্যরা ইতোমধ্যে ছয়টি আফ্রিকান দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে, প্রতিবেদনে মালি ছাড়া অন্য দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
রুশ সেনা বা সামরিক প্রশিক্ষকদের বুরকিনা ফাসো, নাইজার, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং লিবিয়াতেও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের কূটনৈতিক সূত্রগুলো এএফপি’কে গত জুনে জানিয়েছিল, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা কোর ইউনিট মহাদেশজুড়ে ওয়াগনার আধাসামরিক গোষ্ঠীর জায়গা নিয়েছে।
২০২৩ সালের আগস্টে এক রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিহত হওয়ার পর গ্রুপটি পুনর্গঠন করা হয়। এর আগে প্রিগোজিন মস্কোর বিরুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহ করেন।
ওয়াগনারের সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধ করেছে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন ছিল।
রাষ্ট্রীয় টিভির প্রতিবেদনে আফ্রিকা কোরকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোতায়েনকৃত অধিকাংশ সৈন্যই ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের অভিজ্ঞ যোদ্ধা’।