চট্টগ্রামে আমদানি নিষিদ্ধ ৪২০০ কেজি ঘনচিনি আটক
ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্ল্যামেট) আটক করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, ঢাকা’র সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের গোয়েন্দা টিম এই ঘনচিনি আটক করেছে।
আজ বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এজাজ ট্রেডিং, ৪৭ হাজী নাদের হোসেন রোড, নামাবাড়ি, কেরানিগঞ্জ, ঢাকা, ‘পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ ঘোষণায় চীন থেকে একটি কন্টেইনারে ২২ হাজার ৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে, যা গত ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে অবতরণ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম উক্ত পণ্যের খালাস স্থগিত করে, এবং গত ৬ নভেম্বর কায়িক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাকালে দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, যার নমুনা উত্তোলনপূর্বক কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।
রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে উক্ত দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে একটিতে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি ‘পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড’ পাওয়া গেলেও বাকি ৪ হাজার ২০০ কেজি পণ্যকে ঘনচিনি ‘সোডিয়াম সাইক্ল্যামেট’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্ল্যামেট) একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে পণ্যটিকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর বিধান মোতাবেক পণ্যচালানটি কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ২৮ অক্টোবর দু’টি পৃথক চালানে আমদানিকৃত প্রায় ১০০ টন ঘনচিনির দু’টি পণ্যচালান কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম আটক করেছে, যার আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।