বাসস
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:২৫

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১১তম জন্মবার্ষিকীতে শিল্পকলার শ্রদ্ধাঞ্জলি

ছবি: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে।

আজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে চারুকলা বিভাগের পরিচালক আব্দুল হালিম চঞ্চলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পাচার্যের সমাধিতে ‘পুষ্পস্তবক অর্পণ’ করা হয়।

এ সময় একাডেমির কর্মকর্তা-শিল্পী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একাডেমির মহাপরিচালক, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (রেজাউদ্দিন স্টালিন) নানা নির্দেশনা দিয়েছেন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টার জন্য তিনি ‘শিল্পাচার্য’ উপাধি লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই শিল্পীকে ইনস্টিটিউট অব আর্টস এন্ড ক্রাফটস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথিকৃৎ বলে ধরা হয়ে থাকে। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তিনি ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে জয়নুল আবেদিনের করা স্কেচগুলো ছিল অনবদ্য। এ দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। সস্তা প্যাকিং পেপারে চায়নিজ ইঙ্ক ও তুলির আঁচড়ে ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’ নামে জয়নুলের এ ছবিগুলো জয়নুলকে সারা বিশ্বে তাঁকে পরিচিত করে তোলে। এছাড়াও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে গ্রাম বাংলার উৎসব নিয়ে আঁকা ৬৫ ফুট দীর্ঘ ‘নবান্ন’, এবং ‘মই টানা’, ‘গুন টানা’, ‘সাঁওতাল রমণী’, ‘সংগ্রাম’, ‘বিদ্রোহী’ প্রভৃতি অন্যতম- যা ছিল তাঁর সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের প্রতীক।