বাসস
  ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৩

আগামী কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে : আইন উপদেষ্টা

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কার ও সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ৩১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। 

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কার ও সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ভোটাধিকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ভোটাররা সবাই তাদের ভোট দিতে পারবেন।’ অতীতের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, গত কয়েকটি নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি, তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।

নির্বাচনকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। এ বিষয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও সর্বদা গুরুত্ব আরোপ করছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৮-এর নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কাজ করলে ২০০৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিপ্রায় স্পষ্ট এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নির্বাচন আয়োজন করা।’

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ১৫,০০০-এরও বেশি মামলা, সাইবার আইনের অধীনে দায়ের ৪০৮টি এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ৭৫২টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে কয়েক লাখ রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও নাগরিক হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

গত এক বছরে মন্ত্রীপর্যায়ে নিষ্পত্তিকৃত নথির সংখ্যা ১ হাজার ২৮৩টি, যা পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। মন্ত্রণালয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ৩৯১টি বিষয়ে আইনি মতামত প্রদান করেছে এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৪টি ডকুমেন্ট সত্যায়ন করেছে।

সংস্কার কমিশন, গুম তদন্ত কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সাচিবিক সহায়তা প্রদান, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮৮৯ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা ও ২৭৪ জন অ্যাটর্নি নিয়োগ এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগে সহায়তা প্রদান করেছে।

আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব উদ্যোগের ফলে বিচার ব্যবস্থা আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হয়েছে এবং জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি সহজ হয়েছে।