শিরোনাম
এ. এস. এম. নাসিম
নোয়াখালী, ৩১ জুলাই ২০২৫ (বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী হত্যা, নির্যাতন ও দমন পীড়নের প্রতিবাদে চব্বিশের ৩১ জুলাই ছাত্রদের ডাকে সারাদেশে পালিত হয় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জেলার আন্দোলনে নতুন প্রাণ সঞ্চারিত হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মাইজদী বাজার বিবি কনভেনশন হলের সামনে থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রাটি যেন ছিল ক্ষোভ, শোক আর প্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি। শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে ছিল আশার আলো। কিন্তু বুকভরা ছিল দীর্ঘদিনের অবিচারের ক্ষত। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেন এবং দেশের সব আদালতের কাছে বিচার ও জবাবদিহির দাবি জানান।
'একটি মৃত্যুও যেন অবহেলিত না হয়, একটি গুমও যেন ইতিহাস থেকে হারিয়ে না যায়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্ত করতে হবে' এই স্লোগানে প্রকম্পিত ছিল এদিনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের হত্যা, গুম, দমন-পীড়ন এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর মাইজদী বাজারে হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ইফতেখার হোসেন আয়াত বাসসকে বলেন, ‘আমরা সেদিন রাজপথে নেমেছি কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে নয়। বরং দেশের ছাত্রসমাজের জান-মালের নিরাপত্তা এবং বিচার নিশ্চিত করার জন্য। আজ যারা গুম হচ্ছে, কাল তারা আমাদের কেউ হতে পারে। এ অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই আমাদের এই সংগ্রাম। আমরা যদি নীরব হয়ে যাই, তবে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।’
নোয়াখালী জেলা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী সুমাইয়া আক্তার বাসসকে বলেন, নারী শিক্ষার্থীরাও সেদিন নিরাপদ ছিল না। হোস্টেল থেকে তুলে নিতে যাওয়া, মামলার ভয়ে পরীক্ষার অংশ নিতে না পারার ঘটনা আমাদের চোখে পানি এনে দেয়। আমরা চাই, এই রাষ্ট্র আমাদেরও মায়ের মতো আগলে রাখুক। এতদিন আমরা ভয় পেয়েছি। কিন্তু সেদিন আমরা ভয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। যা আমাদের আন্দোলনের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।