বাসস
  ৩১ জুলাই ২০২৫, ২০:২০

নগরীর ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন করেছি : চসিক মেয়র 

ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : নগরীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটা উন্নত হয়েছে দাবি করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে পুরোপুরি সমাধানে এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায় বক্স কালভার্ট পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম এবং নাসির খালের জলপ্রবাহ পরিস্থিতি সরেজমিনে গিয়ে সাংবাদিকদের মেয়র এ কথা বলেন।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন আগ্রাবাদ বক্স কালভার্ট পরিষ্কারের কাজ দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে। এটি সম্পন্ন হলে আগ্রাবাদসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা অনেকটাই কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পরিদর্শনে উপস্থিত নাগরিকরা বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ সামগ্রী ও মাটি ফেলে খাল-নালা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করলে মেয়র তাৎক্ষণিকভাবে দায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইট ঘুরে দেখেন এবং সত্যতা পেয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, পরিবেশদূষণ বা খাল বন্ধের মতো কর্মকাণ্ড পেলে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা রোধে শুধু খাল পরিষ্কার করলেই হবে না, নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। যতক্ষণ না আমরা শহরকে ভালোবাসি, ততক্ষণ এটি বাসযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, মাত্র ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরীর কিছু এলাকায় পানি উঠে গেছে, কারণ সেই সময় জোয়ারের পানিও যুক্ত ছিল। অথচ মে মাসে ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টির পরও এমন অবস্থা হয়নি।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ২০১৬ সালে ৩৬টি খাল পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়, যার মধ্যে ২১টির কাজ শেষ হলেও ১৫টির কাজ এখনো বাকি। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব প্রকল্পেও খাল খননের কাজ চলছে।

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, সামান্য জমা পানি থেকেও মশার লার্ভা তৈরি হচ্ছে। প্লাস্টিক, ডাবের খোসা, বোতল যেখানে-সেখানে ফেলে রাখলে সমস্যা আরও বাড়বে।

পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন- চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফরহাদুল আলম, বক্স কালভার্ট প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার মো. এনামুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খান প্রমুখ।