বাসস
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:০৭

খুবিতে সামাজিক ও মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে পিয়ার টু পিয়ার ওরিয়েন্টেশন

খুবিতে ‘পিয়ার টু পিয়ার ওরিয়েন্টেশন লার্নিং সেশন অন সোশ্যাল ইমোশনাল ওয়েলবেইং (এসইডব্লিউ)’ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব। ছবি: বাসস

খুলনা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘পিয়ার টু পিয়ার ওরিয়েন্টেশন লার্নিং সেশন অন সোশ্যাল ইমোশনাল ওয়েলবেইং (এসইডব্লিউ)’ শীর্ষক সেশন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর চেতনা বোধকে সামনে রেখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ইউনেস্কো বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গৃহীত ‘সোশ্যাল ইমোশনাল ওয়েলবেইং (এসইডব্লিউ)’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেশন আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জন্য এক গর্বের অধ্যায়। জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত কঠিন ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে, যার মানসিক অভিঘাত এখনও অনেক শিক্ষার্থী বহন করে চলেছে। তিনি জুলাই আন্দোলনে আত্মদানকারী খুলনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদ মীর মুগ্ধসহ সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেকে জানা, লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নিজের ভালো গুণগুলোর যথাযথ ব্যবহার ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ করে মা-বাবার সঙ্গে, সুসম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা প্রয়োজন। নিজের জন্য যে কাজ বা কথা অপছন্দনীয়- অন্যের প্রতিও তা না করার পরামর্শ দেন তিনি। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে ইমোশনাল স্কিলস উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আবেগ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা অর্জন করলে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সহজ হয়।

সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলি, আবেগগত স্থিতিশীলতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম লক্ষ্য। 

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা ও ইতিবাচক মনোভাব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব ক্লাব ও সংগঠনে সম্পৃক্ততা শিক্ষার্থীদের হতাশা ও বিষণ্নতা থেকে দূরে রেখে মানসিক সুস্থতা দৃঢ় করতে সহায়তা করছে।

তিনি উল্লেখ করেন, শুধু পড়াশোনা নয়, সহশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশ, আত্মবিশ্বাস ও আবেগগত স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখে।

সেশনে মূল বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান। তিনি সামাজিক-আবেগগত সুস্থতার মৌলিক ধারণা, চাপ ব্যবস্থাপনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ইতিবাচক জীবনদৃষ্টি ও স্বাস্থ্যকর যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক জেসমিন পারভীন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান শাহরিন। সেশনে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।