বাসস
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:১৭

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান জাতির গৌরবময় অধ্যায় : ইউজিসি অধ্যাপক মাসুমা

আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন লার্নিং সেশন অন সোশ্যাল ইমোশনাল ওয়েলবিয়িং’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব। ছবি: বাসস

খুলনা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব আজ বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদেরকে অত্যন্ত কঠিন ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল, যা অনেকের মনে স্থায়ী মানসিক প্রভাব ফেলেছে।’

আজ বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে(খুবি) সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন লার্নিং সেশন অন সোশ্যাল ইমোশনাল ওয়েলবিয়িং (এসইডব্লিউ)’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই আয়োজনের লক্ষ্য হলো-শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শহীদ মীর মুগ্ধসহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য সচেতনতা, লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নিজের শক্তির গঠনমূলক ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ককে মজবুত রাখার, বিশেষ করে মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের তিনি পরামর্শ দেন, অন্যের ব্যাপারে এমন কোনো কথা বা কাজ না করতে, যা তারা নিজের জন্যও অপছন্দ করে।

তিনি আরও বলেন, ‘মানসিক সুস্থতার জন্য আবেগ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা অপরিহার্য। আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা মানসিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।’

২০২৪ জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ইউনেস্কো বাংলাদেশ যৌথভাবে এসইডব্লিউ চলমান প্রকল্পের আওতায় এ সেশনটি আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাগত উৎকর্ষতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক গুণাবলি, আবেগ সংবরণ এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার জন্যও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের নেতৃত্বগুণ, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার ভূমিকাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান। তিনি সামাজিক-মানসিক কল্যাণের মূল ধারণা, চাপ ব্যবস্থাপনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা, সুস্থ যোগাযোগ এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি এবং হতাশা ও বিষণ্নতা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে ইউজিসি’র আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পরিচালক জেসমিন পারভীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।