বাসস
  ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৮

ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে ‘খুবই আশাবাদী’ হোয়াইট হাউস

ঢাকা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে হোয়াইট হাউস আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। 

সোমবার হোয়াইট হাউস বলেছে, চুক্তির ব্যাপারে তারা খুবই আশাবাদী।

খবর এএফপি’র।

এদিকে একই সময়ে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে মস্কো যাচ্ছেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশাসনকে খুব আশাবাদী বলে মনে হচ্ছে।’

তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দল এ প্রচেষ্টায় কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং তারা সত্যিই চান এই যুদ্ধের অবসান ঘটুক।

তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক গতকালই তারা ফ্লোরিডায় ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা করেছেন। আর এখন বিশেষ দূত উইটকফ রাশিয়ার পথে রয়েছেন।’

ট্রাম্পের ব্যবসায়িক বন্ধু এবং তার বিশ্বব্যাপী সমস্যা সমাধানে নিয়োজিত স্টিভ উইটকফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ রবি ও সোমবার ইউক্রেনীয় আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ইউক্রেনীয় আলোচক রুস্তেম উমেরভ বলেন, আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ট্রাম্পকে বিরক্ত না করার ব্যাপারে সতর্ক চেষ্টায় থাকলেও ইউক্রেনের ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এক সপ্তাহ আগে ইউক্রেনকে না জানিয়েই জেনেভায় একটি মার্কিন পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা অনুসারে, কিয়েভকে তাদের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে বলা হয়। পাশাপাশি দোনেৎস্ক, ক্রিমিয়া ও লুহানস্ক অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিবে বলেও জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এক ধরনের নিশ্চয়তা দেবে। তবে এসব পদক্ষেপ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে না। ন্যাটো এমন একটি সামরিক জোট, যেখানে একজনের ওপর আক্রমণ মানে সবার ওপর আক্রমণ।

কিয়েভ ও ইউরোপের সমালোচনার পর ওয়াশিংটন মূল পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। তবে বর্তমান প্রস্তাবের বিষয়বস্তু এখনো পরিষ্কার নয়।

এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সোমবার জেলেনস্কির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেন, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় শক্তির অংশগ্রহণ ছাড়া যুদ্ধ শেষের কোনো পরিকল্পনা চূড়ান্ত হতে পারে না।

জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, রাশিয়াকে এমন কিছু দেওয়া যাবে না যা তারা এ যুদ্ধের পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।

এদিকে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ সপ্তাহে ব্রাসেলসে বার্ষিক বৈঠকে বসবেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈঠকে যাচ্ছেন না। তার বদলে তিনি সহকারী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউকে পাঠাচ্ছেন।