বাসস
  ১৪ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৬

বরগুনার উপকূলীয় টেংরাগিরি বনে ঘন করে ঝাউবন সৃজনের উদ্যোগ গ্রহণ

বরগুনা, ১৪ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) :  জেলার ভাঙ্গন কবলিত সাগর উপকূলীয় টেংরাগিরি বনটি রক্ষায় ঘন করে ঝাউবন সৃজনের উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। এই বনটি সিডর ও আইলা থেকে বরগুনা উপকূলকে ঢালের মতো রক্ষা করেছিলো।
বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনে ১৫ হাজার ৪ শত ৪ দশমিক ৪ একরের বনটির গত ৬২ বছরে ২ হাজার একর জমিসহ গাছ-গাছালি সাগর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে টেংরাগিরি বনটিকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে ১৩ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৩ একর আয়তনের বনটির পূর্বদিকে কুয়াকাটা, মহিপুর ও আন্ধার মানিক খাল। পশ্চিমে লালদিয়া, কুমির মারা,  পায়রা ও  বিষখালীর মোহনা। উত্তরে সোনাকাটা, নিশান বাড়িয়া ও সখিনা খাল। দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। ১১ কিলোমিটার প্রস্থ আর ১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বনের পুরোটাই রয়েছে সাগরের তীর ঘেঁষে। প্রতি বছর বর্ষায় সাগরের হিংস্রতা বেড়ে যায়। এসময় বিশালাকার ঢেউ এসে বনের উপর আছড়ে পড়ে। এভাবে অনবরত ঢেউয়ের ছোবলে ধীরে-ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে বনটি।
বিভাগীয় (পটুয়াখালী) বন কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, সাগরের ভাঙ্গনের হাত থেকে বনকে রক্ষার জন্য নতুন করে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জুনের প্রথম সপ্তাহে জাইকার ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম বন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এবছর আমরা ঝাউ এবং অন্যান্য প্রজাতির গাছ ঘন করে সৃজন করবো। এত সাগরের ঢেউ আছরে পরে মাটির ক্ষয় করতে পরবে না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়