বাসস
  ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:২১

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে বাগেরহাটের পুরাতন জেলখানার পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার করে রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা। ছবি: বাসস

বাগেরহাট, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পুরাতন জেলখানার পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করেছে রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা। জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন আজ সকালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। 

এসময়, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাগেরহাট ইউনিটের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুলসহ রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দেরিতে হলেও রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রা।

স্থানীয় চা দোকানি আবুল কালাম বলেন, পুকুরটি আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই পুকুর থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করি। এই পুকুরের পানি সারা শহরের হোটেল রেস্তোরাঁয় একসময় খুব বেশি ব্যবহৃত হতো। দীর্ঘদিন ধরে পানির এই সমস্যা থাকলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে, এজন্য আমরা খুবই আনন্দিত।

বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাগেরহাট ইউনিটের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, সকাল থেকে রেডক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করেছেন। বিকেল নাগাদ পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশা করছি। ভবিষ্যতে শহরের সব জলাশয়ে পানি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সেই ব্যবস্থা করা হবে। সেই সাথে হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশ পরিষ্কার করা হবে বলেও তিনি জানান।

রেডক্রিসেন্টের নব নির্বাচিত সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুটুল বলেন, আজকের এই পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ শুধু আমাদের নয়, গোটা বাগেরহাটের। দীর্ঘদিনের জঞ্জাল পরিষ্কারের অভিযান একদিনে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই এ কাজে সব সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। 

বাগেরহাট শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পুকুরটি শহরের জন্য নানা কারণেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরের পূর্বপাশে পুরাতন শিল্পকলা, পশ্চিমে পুরাতন জেলখানা জামে মসজিদ, দক্ষিণে স্বাধীনতা উদ্যান এবং উত্তরে শহীদ মিনার। তিন পাশে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এই পুকুরের আশপাশের বাসিন্দা ও হোটেল-রেস্টুরেন্টে এই পুকুরের পানি ব্যবহার করতেন। তবে গত ৬ বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ ছিল। যার ফলে, বাধ্য হয়ে জেলখানা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা দূষিত পানিতে অজু করতেন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই পানি ব্যবহার করতেন।