শিরোনাম

/ মহিউদ্দিন সুমন /
টাঙ্গাইল, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): টাঙ্গাইল (সদর)-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়ন পেয়ে জেলা সদরকে চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
আজ বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পর বাসসের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক। তিনি কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতা হিসেবে তিনি জিয়া পরিবারের আস্থা অর্জন করেছেন। দলীয় তৃণমূলের একটি বড় অংশ শুরু থেকেই টুকুর পক্ষেই ছিল। স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ ভোটারের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিনের। তিনি এই আসনে বিএনপির সাংগঠনিক হাল ধরে রেখেছেন বলে মনে করা হয়।
মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বাসসকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। জিয়া পরিবার আমার উপর আস্থা রেখেছে। সর্বোপরি আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি।’
তিনি বলেন, আগামীতে টাঙ্গাইল সদরে ধানের শিষের বিজয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। সেই সঙ্গে এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
টুকু বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে টাঙ্গাইল সদরকে চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। জনগণ যদি আমার উপর তাদের আস্থা রাখে আমি অবশ্যই উন্নয়নের মাধ্যমে এর প্রতিদান দেবো ইনশাল্লাহ।’
রাজধানীর নিকটতম ঢাকা বিভাগের অন্যতম আসন হচ্ছে টাঙ্গাইল-৫ (সদর উপজেলা)। একটি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর তাদের রাজত্ব ধরে রেখেছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর এই আসনের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। ফলে এই জনগুরুত্বপূর্ণ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টুকুর এই মনোনয়ন প্রাপ্তিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু একজন সৎ ও ত্যাগী নেতা। তিনি পতিত শেখ হাসিনা সরকারের জেল-জুলুম ও নানা হয়রানিকে উপেক্ষা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হয়ে ছাত্রজীবন থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি টাঙ্গাইলেই বড় হয়েছেন। এখানেই তিনি ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন। তিনি টাঙ্গাইল সদরের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে মিশে গেছেন। তাই এ আসনে টুকুকেই মানুষ চায়।
তারা আরও জানান, টুকু এলাকার অসহায় দরিদ্রের আর্থিক, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দিরসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগেই তিনি এলাকার রাস্তা-ঘাট সংস্কার করছেন। তাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল সদর আসন থেকে ধানের শিষ প্রতীকে জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
দীর্ঘদিন ধরে সুলতান সালাউদ্দিন পুকুর পক্ষে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক ছানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সৈয়দ শহীদুল আলম টিটু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি মমতাজ ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল ইসলাম রাশেদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তরুণ ভোটাররা জানান, সালাউদ্দিন টুকু তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন আস্থাভাজন নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তরুণ সমাজকে তিনি স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছেন যে, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য থাকলে সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ইতোমধ্যে টাঙ্গাইলে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।