বাসস
  ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৯

যারা স্বাধীনতা মানে না, তারা দেশের কল্যাণ করতে পারবে না: আসাদুল হাবিব দুলু

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, যারা স্বাধীনতা মানে না, তারা দেশের কল্যাণ করতে পারবে না।

গতকাল রাত ১০টায় লালমনিরহাট পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে এক ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের’ পতনের পর নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থান দেখা যাচ্ছে, যারা দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে অস্বীকার করে।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার পিতাসহ ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন এবং বহু মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—তারপর আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি। অথচ তারা এই স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। 

যারা ১৯৪৭-এ পাকিস্তানকে মানেনি, ১৯৭১-এ বাংলাদেশের অস্তিত্ব মানেনি, তাদের দ্বারা জাতির কল্যাণ সম্ভব নয়।’

দুলু অভিযোগ করে বলেন, একটি রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ‘দলের কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ‘বেহেশতের টিকিট’ দেওয়ার কথা বলছে। বেহেশত একমাত্র আল্লাহর অধীনে—মানুষ কারও জান্নাত বা জাহান্নামের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতি কাজে লাগিয়ে বিশেষ করে নারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি কথায় কথায় ‘জান্নাতের টিকিট’ পাওয়া যেত, তবে রোজা, নামাজ, হজ ও জাকাত আদায়ের প্রয়োজন হতো না।’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভোটে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হলে লালমনিরহাটের মানুষের জীবনমান বদলে যাবে।’

দুলু জানান, নির্বাচিত হলে বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন ও মাদকের মতো সামাজিক সমস্যা মোকাবিলা করা হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে যুবসমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়লা হাবিব, জেলা পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, কৃষক দলের সভাপতি নুরন্নবী মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. জাহেরুল হকসহ জেলা বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬০০ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫০০ জন মোট ১১০০ জন নতুন সদস্য বিএনপিতে যোগদান করেন।