শিরোনাম

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : অর্থ আত্মসাৎ, ঘুস ও সেবায় অনিয়মের অভিযোগে তিন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক জানায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ ও চিকিৎসাসেবায় অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক, সজেকা চট্টগ্রাম-২ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
টিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সেবাদান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করে। নতুন সৃষ্ট উপজেলা হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিসর তুলনামূলক ছোট এবং বর্তমানে শুধু আউটডোর সেবা চালু রয়েছে। ৩ টাকার টিকিটে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন এবং সীমিত পরিসরে কিছু মেডিকেল টেস্টের সুবিধা রয়েছে। অধিকাংশ রোগী সেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও কিছু রোগী পর্যাপ্ত ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, সীমিত বাজেটের কারণে চাহিদামতো ওষুধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।
এদিকে নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। অভিযোগে উল্লিখিত ছয়টি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া খুলনার জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি, ঘুস গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
টিম ভুক্তভোগীদের নথি সংগ্রহ ও যাচাই করে এবং গত এক বছরে দাখিলকৃত নথির মধ্যে কিছু নমুনা পর্যালোচনা করে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, একজন গ্রাহকের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুস গ্রহণ ও বিনা কারণে তার ফাইল দুই মাসের বেশি সময় আটকে রাখার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।