বাসস
  ৩০ জুলাই ২০২৫, ২০:৩৪
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ২১:৪৬

শওকত আলী চৌধুরীসহ তার পরিবারের হিসাবের লেনদেন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): ব্যবসায়ী মো. শওকত আলী চৌধুরীসহ তার পরিবারের চার সদস্যের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সহকারী পরিচালক মো. তানভীর হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক আদেশে আজ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, 'মো. শওকত আলী চৌধুরী, তাসমিয়া আম্বারীন, জারা নামরীন ও মো. জারান আলী চৌধুরী এবং তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন এর উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩(১) (গ) ধারার আওতায় কাল ৩১ জুলাই  থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ত্রিশ দিন বর্ধিত করার জন্য আপনাদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।'

স্থগিতাদেশের ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর ২৬(২) বিধি প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শওকত আলী চৌধুরীসহ আরও যাদের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে, তারা হলেন শওকত আলী চৌধুরীর স্ত্রী তাসমিয়া আম্বারীন, তিনি ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান। হিসাব স্থগিতের তালিকায় থাকা অপর দুজন হলেন তাঁর মেয়ে জারা নামরীন ও জারান আলী চৌধুরী। এরমধ্যে জারা নামরীন ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালক।

এর আগে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়, তাদের নামে ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের (লিমিটেড কোম্পানিসহ) নামে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এসব হিসাবের যাবতীয় দলিল (হিসাব খোলার ফরম, টিপি, কেওয়াইসি) ২ জুলাইয়ের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আজ স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো। আর্থিক অপরাধের তদন্তের অংশ হিসেবে এসব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে হিসাবগুলো স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়, তাদের পরিচালিত ৩৫টি ব্যাংক হিসেবে ৪৫৯১ কোটি টাকা জমা (ডিপোজিট) রয়েছে। তাদের অর্থপাচার করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চব্বিশের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটার পর থেকে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সুবিধাভোগী অসাধু ব্যবসায়ীদের সন্দেহজনক লেনদেনে ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় শওকত আলী চৌধুরীসহ তার পরিবারের সদস্যদের হিসাব জব্দ করা হয়। তিনি বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান।