বাসস
  ৩০ জুলাই ২০২৫, ০০:৪৫

কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ ও পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি

ঢাকা, ২৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): ঢাকার মাঠ ও পার্কসমূহের ব্যবস্থাপনায় ক্লাবভিত্তিক মডেল থেকে সরে এসে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

মঙ্গলবার গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির অষ্টম কর্পোরেশন সভায় এ তথ্য জানান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকার মাঠ ও পার্কসমূহের ব্যবস্থাপনায় ক্লাবভিত্তিক মডেল থেকে বেরিয়ে কমিউনিটিভিত্তিক মডেলের দিকে এগোচ্ছে ডিএনসিসি।

তিনি বলেন, ঢাকার পাবলিক পার্কগুলোতে সর্বসাধারণের প্রবেশ একটি অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ক্লাবভিত্তিক মডেল থেকে সরে এসে কমিউনিটিভিত্তিকভাবে পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। আমরা নতুন করে আর কোনো ক্লাবকে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিচ্ছি না। ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, পর্যায়ক্রমে ঢাকার সকল মাঠ ও পার্ক ডিএনসিসির উদ্যোগে এলাকাবাসীর সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হবে। এর ফলে মাঠ ও পার্কগুলোতে নাগরিক মালিকানার ধারণা তৈরি করা যাবে।

এরই অংশ হিসেবে আজকের কর্পোরেশন সভায় গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ পার্ক এবং ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গুলশান সোসাইটিকে দেয়া হয়েছে।

প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হলো মাঠ এবং পার্কগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া। আমরা ক্লাবভিত্তিক মাঠ ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রশাসক জানান, আমরা কোনো মাঠ বা পার্ক ইজারা দেব না। এগুলো কমিউনিটির মাধ্যমে কমিটি করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হবে, যেন মাঠ ও পার্কগুলো সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা যায়।

উল্লেখ্য, গুলশানের শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ স্মৃতি পার্কসহ যেসব মাঠ ও পার্ক পূর্বে সম্পন্ন চুক্তির ভিত্তিতে ক্লাবের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেগুলোর কার্যক্রম মনিটরের জন্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে স্থানীয় জনগনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটির মাধ্যমে পার্ক ও খেলার মাঠ কেন্দ্রিক জনগণের অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। এছাড়া যথাযথ নিয়মে পার্ক ও মাঠ পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেটি এ কমিটি সার্বক্ষণিক মনিটর করবে।

চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষে, পরবর্তীতে ক্লাবভিত্তিক মডেলে আর পার্ক ও মাঠ ব্যবস্থাপনা করা হবে না।