জেডআরএফের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেছেন, জিয়াউর রহমান মাত্র সাড়ে ৩ বছর শাসনামলে দেশের আমূল পরিবর্তন করেছিলেন। 

আজ সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জেডআরএফের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রাজধানীর রায়েরবাজার উচ্চবিদ্যালয়ের ২৩ মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, শাপলা একাডেমির হাসিনা আক্তার ও ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান। জেডআরএফ-এর মনিটর ডা. পারভেজ রেজা কাকন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্ত্রী-পুত্রের মায়া ত্যাগ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধ করেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশ পরিচালনা করেছিলেন। এই সময়ে তিনি দেশের আমূল পরিবর্তন করেছিলেন। তিনি ছিলের সৎ, কর্মীবান্ধব এবং পরিশ্রমী নেতা। এমন কোনো অঙ্গন নেই যেখানে জিয়াউর রহমানের অবদান নেই। অর্থাৎ সব খাতে তার অবদান রয়েছে।’

জেডআরএফ সব দুর্যোগে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ফাউন্ডেশনটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যেখানেই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা দেখা দিয়েছে সেখানেই আমরা ছুটে গিয়েছি। ২০০৫ সাল থেকেই মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছি। আমরা মনে করেছি যে, অনেকেই এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস করে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারে না। পরে আমরা একটি শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প নিয়েছি। এই প্রকল্পের আওতায় আজকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। অনেকেই ডাক্তারও হয়েছেন। এসব দেখে খুবই ভালো লাগে। আমরা খাবার পানির ব্যবস্থা করেছি। কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কমল নামে ধান বীজ বিতরণ করেছি। প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়েছি।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, জিয়াউর রহমান নিজের জন্য কিছুই করেননি। তিনি সবসময় জনগণকে নিয়ে ভেবেছেন ও কাজ করেছিলেন। সারাক্ষণ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন। অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করেছেন। তিনি সারা দেশে মানুষের মাঝে আইডল। আসলে তিনি ছিলেন খুবই সাধারণ।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপির না, তিনি সমগ্র বাংলাদেশের। আজকের জিডিপি ও প্রবৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান জিয়াউর রহমানের। তিনি আমৃত্যু দেশ নিয়ে ভেবেছিলেন। দল-মতের ঊর্ধ্বে তার আদর্শ আমাদের সবার হৃদয়ে ধারণ করা উচিত। তার দেখানো পথে অগ্রসর হলে দেশটা আরও এগিয়ে যাবে।