বাসস
  ২৫ জুলাই ২০২৫, ২০:১৩

মাহেরীন চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন আফরোজা আব্বাস

শুক্রবার নীলফামারীতে শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর কবর জিয়ারত করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। ছবি: বাসস

নীলফামারী, ২৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে জীবন উৎসর্গকারী শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে জেলার জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরী পাড়া গ্রামে পৌঁছে কবর জিয়ারতে অংশ নেন আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ। শেষে মাহেরীনের পরিবারের খোঁজবর নিয়ে সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি বলেন, ‘সমগ্র নারী সমাজের জন্য মাহেরীন চৌধুরী একজন জাতীয় বীর। তার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে রুহের মাগফেরাত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এখানে এসেছি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা এসেছি। তাদেরকে সমবেদনা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। যারা স্বজন হারিয়েছে তারাই শুধু এটা উপলব্ধি করতে পারবে। আমরা শুধু দেখছি, মাঝে মাঝে বাকরুদ্ধ হচ্ছি, ভাষা হারিয়ে ফেলছি’।

মাহেরীন চৌধুরী সাহসিকতার কথা বলতে গিয়ে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘তিনি নিজের জীবন দিয়ে এতোগুলো বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি একজন মা, একজন শিক্ষক। ওই বাচ্চাদের সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্ক ছিল না, ছিল আত্মার সম্পর্ক। তিনি সবগুলো বাচ্চাকে নিজের বাচ্চা মনে করেছেন। তিনি তার পরিবার আত্মীয় স্বজন কারো কথা চিন্তা করেন নাই। আমি মনে করি শিক্ষকতা যে মহান পেশা, এই পেশাকে একটা মহানুভবতার জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। সমগ্র নারী সমাজের জন্য তিনি একজন গর্বিত মা হয়ে থাকবেন’।

মাহেরীন চৌধুরীর মহানুভবতার জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রাপ্য ছিল। আমি মনে করি এটা ছিল তার প্রাপ্তি। তার প্রাপ্য সম্মান অবশ্যই দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রীয় সম্মান তার জন্য প্রযোজ্য। আমি মনে করি অনতিবিলম্বে সরকার তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করুক’।

তিনি শিক্ষক সমাজের প্রতি বলেন, ‘শিক্ষকদের বলবো তিনি যেমন শিক্ষকতার মহান পেশাকে মহিমান্বিত করেছেন, শিক্ষকরা যেন সেটাকে ধারণ করেন। এই যে বাচ্চাগুলো (মাহেরীন চৌধুরীর দুই সন্তান) আজকে এতিম হয়ে গেল বাচ্চাগুলো যেন তাদের মাকে নিয়ে গর্ব করে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান, মৃত মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনছুর হেলাল, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চৌধুরী ডিডু, নীলফামারী জেলা মহিলা দলের সভাপতি তাসমিন ফৌজিয়া ওপেল, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার, লালমনিরহাট জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট জিনাত ফেরদৌস আরা রোজি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আঞ্জু মনোয়ারা শাপলা, জলঢাকা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নাসরিন আক্তার ববি, সাধারণ সম্পাদক হেমা আহম্মেদ, ডিমলা উপজেলা সভাপতি নুরজাহান পারভীন, জেলা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদের জলঢাকা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. রোকনুজ্জামান চৌধুরী।