শিরোনাম
ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ রেলওয়ের 'লাগেজ ভ্যান প্রকল্পে’ সরকারি অর্থ অপচয় ও সেবায় অনিয়মের অভিযোগে দু’টি ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সহকারী পরিচালক আনজির আহমেদ জানান, সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে লাগেজ ভ্যান প্রকল্পের কেনাকাটা সংশ্লিষ্ট দরপত্র সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। অন্যান্য অনিয়ম সংক্রান্ত যাচাইয়ের নিমিত্ত টিম কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রতিটি কোচের টয়লেটের জন্য বরাদ্দ থাকা সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, টিস্যু, এয়ার ফ্রেশনার ইত্যাদি সামগ্রী সরবরাহ করা হয়নি, তবে রেজিস্টারে এন্ট্রি দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হয়েছে এবং ট্রেন পরিষ্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। নমুনা হিসেবে পরিদর্শিত ট্রেনের তথ্য ও কতিপয় যাত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণরত অধিকাংশ ট্রেনের এসি কোচ সমূহে কিছু ভোগ্য পণ্য সরবরাহ করা হলেও নন-এসি কোচে সরবরাহ করা হয় না বলে এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এতে যাত্রীসেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
এদিকে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রণীত নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে নোবিপ্রবির প্রো-ভিসির সাথে অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ সংক্রান্ত বোর্ডের সভায় গৃহীত নীতিমালা, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র/ কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়।
এ ছাড়া দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের দরপত্র প্রক্রিয়ায় নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। টিম মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শনকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করে।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের রাঙ্গামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে টিম কর্তৃক রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে উপস্থিত হয়ে প্রকল্প পরিচালকের কাছ থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। রেকর্ড অনুযায়ী, প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলার ১২টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হয়।
সংগ্রহকৃত তালিকার ভিত্তিতে রাঙ্গামাটি সদর ও কাপ্তাই উপজেলার ৬টি বাগান সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। পাশাপাশি উপকারভোগীদের বক্তব্যও গ্রহণ করে দুদক টিম।