বাসস
  ১৭ জুলাই ২০২৫, ১১:১২

নারায়ণগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে অভিযান: বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা

প্রতীকী ছবি। পেক্সেলস

নারায়ণগঞ্জ, ১৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বুধবার এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এই অভিযানে অবৈধভাবে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নপূর্বক মালামাল জব্দ করা হয়।
বুধবার এক তথ্যবিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রথম অভিযানে কলাবাড়ীর দেওয়ানবাগ এলাকায় একটি অবৈধ চুন ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। এই কারখানায় প্রায় ২০০০ সিএফটি লোডের অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছিল, যা পরিবেশ এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। অভিযানকালে, প্রায় ২০০ ফিট ২ ইঞ্চি পানির হোস পাইপ, ১০ ফিট ১.৫ ইঞ্চি এমএস পাইপ, ৪টি বার্নার এবং ৩টি বেলচা অপসারণ ও জব্দ করা হয়।

অভিযানে চুন কারখানার মালিককে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তাৎক্ষণিক কোনো জরিমানা বা কারাদণ্ড প্রদান করা সম্ভব হয়নি। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মৌখিক নির্দেশনার ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ  আঞ্চলিক লিগ্যাল বিভাগ চুন ফ্যাক্টরির মালিক এবং জায়গার মালিকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করে।

এতে আরও বলা হয়, অবৈধ চুন কারখানার সম্পূর্ণ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্থাপনাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় কারখানার মজুদকৃত চুন ভিজিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

এছাড়া, অবৈধ বিতরণ লাইনের সংযোগ উৎসে পুরোপুরি কিলিং করা হয় যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় কোনো অবৈধ সংযোগ স্থাপন করা না যায়।

দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় মালিবাগ এলাকায়, ক্যাসেল রিসোর্টের পাশে। এখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের বিদ্যমান ৪ ইঞ্চি ১৫০ পিএসআইজি লাইন থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে হাইওয়ের নিচ দিয়ে বোরিং করে একটি ২ ইঞ্চি লাইন স্থাপন করা হয়েছিল। এই অবৈধ লাইনের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ চুলার গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছিল, যা শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের কারণই নয়, একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তৈরি করছিল।

অভিযান চলাকালে অবৈধভাবে স্থাপিত প্রায় ৭০ ফিট ২ ইঞ্চি এমএস পাইপ অপসারণ ও জব্দ করা হয়। এই স্পটেও অবৈধ বিতরণ লাইনের সংযোগ উৎসে স্থায়ীভাবে কিলিং করা হয়, যা ভবিষ্যৎ অবৈধ সংযোগ রোধে একটি কার্যকর পদক্ষেপ।