শিরোনাম

রাজশাহী, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজশাহীতে আজ এক সভায় বক্তারা সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রবীণ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, পরিবার ও সমাজে দুর্বল অবস্থানের কারণে অনেক প্রবীণ ব্যক্তি এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ নির্যাতন ও অবহেলার শিকার হন।
আজ বৃহস্পতিবার নগরীর সমাজসেবা অধিদফতর (ডিএসএস) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রতিটি উপজেলায় ওয়ান-স্টপ সল্যুশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা’ শীর্ষক জেলা পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কারিতাস বাংলাদেশ রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয় সভাটির আয়োজন করে। এতে প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফর ডিগনিটি অ্যান্ড বেটারমেন্ট (এসডিডিবি) প্রকল্পের সহায়তায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিএসএস-এর উপ-পরিচালক মনিরা খাতুন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবা খাতুন বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য। সভায় বক্তারা বলেন, প্রবীণ ব্যক্তিরা জীবনে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সমাজের উপকার করতে পারেন।
এসময় আরো বলা হয়, স্কুল-ছাত্রীরা তাদের নিকটাত্মীয় প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা তাদের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করবে এবং এটি তাদের কল্যাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকৃতিগতভাবে মেয়েরা বাবা-মায়ের প্রতি বেশি যত্নশীল এবং ঐতিহ্যগতভাবে তারা পরিবার ও সমাজে প্রবীণদের কল্যাণে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মনিরা খাতুন সমাজে, বিশেষ করে পরিবারে প্রবীণদের কল্যাণে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, অনেক মানুষ বার্ধক্যে পৌঁছালে বিভিন্ন কারণে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে। ডা. মাহবুবা খাতুন বলেন, যদি প্রতিটি ছেলে-মেয়ে তাদের বাবা-মাকে যথাযথ সম্মান দেয়, তাহলে কোনো প্রবীণ মানুষই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে না।
কনসেপ্ট পেপার উপস্থাপনকালে জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অগাস্টিন রাটিয়া নুনিয়া এসডিডিবি প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়ন কৌশলের একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসডিডিবি প্রকল্পের লক্ষ্য হলো— দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নয়ন, পরিবেশগত স্থায়িত্ব বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ সহনশীলতা শক্তিশালী করার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং আদিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত মানবিক উন্নয়ন ও মর্যাদা নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।