শিরোনাম

নড়াইল, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে নড়াইল মুক্ত দিবস।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা জজ আদালত সংলগ্ন চিত্রানদীর পাড়ে অবস্থিত বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস চত্বরের গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়নার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আছাদুজ্জামান।
আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রকিবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এস.এ মতিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবর রহমান প্রমুখ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিবার রহমান, নড়াইল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, এসএম সুলতান সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ৮ ডিসেম্বর লোহাগড়া থানা ও ৯ ডিসেম্বর কালিয়া থানা পাকা হানাদার মুক্ত হয়। ৯ ডিসেম্বর বিজয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাংলোতে অবস্থানরত ৪০ জন পাক মিলিটারিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা চর্তুদিক থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করলে পাক মিলিটারিরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এখানে এক পাক মিলিটারি নিহত হয় এবং অন্যদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
শীতের রাতে প্রবল শীতকে উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধারা সারারাত শহরে বিজয় উল্ল¬াস করতে থাকেন এবং ১০ ডিসেম্বর বেলা সোয়া একটায় নড়াইলকে পাক হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।