বাসস
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:০৬
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:১২

বিএমইউতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স রিপোর্ট প্রকাশ

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ) ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) রিপোর্ট ২০২৪-২৫’ প্রকাশ করেছে, যেখানে গত এক বছরে বিশ্লেষণ করা ৪৬ হাজার ২৭৯টি রোগীর নমুনার ভিত্তিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সোমবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, অ্যামোক্সিসিলিন, সেফট্রিয়াক্সন, জেনটামাইসিন ও মেরোপেনেমসহ বহু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা দ্রুত কমে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএমইউ ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, এ এম আর মোকাবিলায় গবেষণা ও নীতিনির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অতিরিক্ত ও ভুল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে জনস্বাস্থ্য ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়ছে।

সভাপতির বক্তব্যে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসের ইবনে সাত্তার জানান, নিজে নিজে ওষুধ গ্রহণ, অসম্পূর্ণ ডোজ এবং সঠিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জীবাণু দ্রুত প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। ভিডিও বার্তায় অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়লে আগামী এক দশকে বিশ্ব ভয়াবহ সংকটে পড়বে।

রিপোর্ট উপস্থাপনকারী সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহেদা আনোয়ার জানান, নমুনার ২৪ শতাংশ কালচারে পজিটিভ পাওয়া গেছে। প্রস্রাবে ই. কোলি ও রক্তে স্যালমোনেলা টাইফি সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে। ই. কোলি-তে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন ও অ্যামোক্সিসিলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়েছে, যদিও মেরোপেনেম ও টিগেসাইসিলিন তুলনামূলক কার্যকর।

ক্লেবসিয়েলা ও অ্যাসিনেটোব্যাক্টারে উচ্চমাত্রার রেজিস্ট্যান্স পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ক্যান্ডিডা প্রজাতিতে ফ্লুকোনাজল রেজিস্ট্যান্সও উদ্বেগজনক।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং শেষে পোস্টার প্রেজেন্টেশনের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।