বাসস
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:২৮

দীর্ঘ ৫৪ বছর পরে ৭১ পরবর্তী বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে: হাসনাত কাইয়ুম

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, এই বিজয় দিবসে ৭৩ এর বিজয় দিবসের একটা ছাপ আছে। ৭১ এর যুদ্ধজয়ের পরে ৭২ এবং ৭৩ এর বিজয় দিবসে এক ধরনের হতাশা ছিলো। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই হতাশ। কারো কারো বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ, অস্থিরতা, আশঙ্কা এগুলো যেমন ছিলো, বর্তমান অবস্থা ঠিক তেমনই। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিলিয়ে এবারের যে বিজয় দিবস আগে যে হতাশা অস্থিরতা তা প্রায় একইরকম মনে হয়। এগুলো থেকে শিক্ষা নিলে এবার হয়তো আমরা অন্যরকম একটা বিজয় দিবস পেতে পারতাম, কিন্তু আমরা কখনোই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেই না। এটাই বাস্তবতা।

জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস-এর সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫৪ বছর পরে এসে সেই ৭১ এর পরের একই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তখন যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলো, যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলো তাদের সবাইকে বাদ দিয়ে এটার মালিকানা চলে গিয়েছিলো শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের কাছে। আন্দোলন বা যুদ্ধের মালিকানাকে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছিল সম্পদ দখলের কাজে। 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারের যুদ্ধের পরে একই রকমের প্রাতিষ্ঠানিক কায়দায় সেটার মালিকানাকে খুব ছোট করা হয় এবং যাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মালিক বানানো হয় তাদের কাউকে ভুল বুঝিয়ে, প্রলুদ্ধ করে চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা করা হয়।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, এসব কারণেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে পাওয়া এতো বড় অর্জন অতি অল্প সময়ের মধ্যে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, এমন একটা মনস্তত্ত্ব গ্রাস করছে সবাইকে। তবুও এ অবস্থা পাশ কাটিয়ে রাজনীতিবিদরা চেষ্টা করছে এই অর্জনকে রক্ষা করার। সুতরাং সেদিক থেকে এবারের বিজয় দিবস তাৎপর্যপূর্ণ যে নতুন করে ৭১ এর বিজয়ের মতো ২৪ এর বিজয় যাতে হাত ছাড়া না হয়। ৭১ এর মতো কোনো চূড়ান্ত দুূর্ভাগ্যজনিত পরিণতির দিকে না যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখা, সেভাবে সতর্ক থাকা এবং সেই চেষ্টা করা দরকার। এটাই হচ্ছে এবারের বিজয় দিবসে আমার উপলদ্ধি।