শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): শত্রুর হামলা থেকে বাঁচতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে নতুন একটি ‘অত্যাধুনিক’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। আজ বৃহস্পতিবার দেশটি এ তথ্য জানিয়েছে।
সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গতকাল বুধবার সিউলের সামরিক বাহিনী প্রতিবেশী দেশটির পরীক্ষা চালানোর বিষয়টি শনাক্ত করেছে। কয়েক মাসের মধ্যে এটি পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম এ ধরনের পরীক্ষা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশ্ব নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রমণের এক সপ্তাহ আগে অস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা ঘটলো।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা পাক জং চোন ঘোষণা করেছেন— নতুন অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি দেশের আত্মরক্ষামূলক প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ক্রমাগত উন্নত করার একটি স্পষ্ট প্রমাণ।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি আরো জানায়, দু’টি হাইপারসোনিক প্রজেক্টাইল রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের দক্ষিণ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।
কেসিএনএ আরো জানায়, এই পরীক্ষার লক্ষ্য হলো সন্দেহজনক হামলার ব্যাপারে কৌশলগত প্রতিরোধের মাত্রা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণেরও বেশি গতিতে ধেয়ে আসে এবং এগুলো কৌশলে আঘাত হানতে সক্ষম। ফলে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করা এবং সেগুলো আটকানো কঠিন হয়ে যায়।
এ বছর রাশিয়া ইউক্রেনে এবং ইরান ইসরাইলে হামলায় এগুলো ব্যবহার করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ উষ্ণ।
উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির সীমা ও গতি সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
সিউলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজ-এর সাবেক সভাপতি ইয়াং মু-জিন এএফপিকে বলেন, এর পাল্লা বিবেচনা করলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি স্পষ্টতই দক্ষিণ কোরিয়ার কথা বিবেচনা করে তৈরি।