বাসস
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:৪৫

বৈজ্ঞানিকভাবে মাছ চাষ খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে: মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বৈজ্ঞানিকভাবে সিবাছ (কোরাল) মাছ চাষ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও মাছের সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।

রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কলাতলিতে অবস্থিত আধুনিক গ্রীন হাউজ মেরিকালচার হ্যাচারি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, দেখে ভালো লাগছে মাছ থেকে ডিম উৎপাদন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে আশার কথা হল—এই মাছচাষ শুধু কক্সবাজারের মত উপকূলীয় এলাকায় নয়, উত্তরবঙ্গের মত অঞ্চলগুলোতেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ উৎপাদন বাড়বে এবং জাতীয় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার মেরিকালচার (সামুদ্রিক মৎস্য চাষ) প্রসারে বিভিন্নভাবে সহায়তা করবে। তবে বেসরকারি খাতের উদ্যোগই হবে মূল চালিকাশক্তি। যত বেশি বেসরকারি উদ্যোক্তা যুক্ত হবে, তত বেশি প্রযুক্তি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈজ্ঞানিক মাছ উৎপাদন নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের আধুনিক ও টেকসই উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এটি দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে শক্ত ভিত্তিও তৈরি করবে।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মত সামুদ্রিক কোরাল মাছের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য অর্জন করেছে কক্সবাজারের ‘গ্রিন হাউজ মেরিকালচার’ হ্যাচারি। ফলে ভবিষ্যতে পুকুরে সামুদ্রিক কোরাল মাছ চাষের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কোরাল মাছের পোনা উৎপাদন সংক্রান্ত এ গবেষণার কার্যক্রমে মৎস্য অধিদপ্তর সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।