শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : পাকিস্তানে চলতি সপ্তাহে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২ শিশুসহ অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাতে পেশোয়ার থেকে এএফপি জানায়, বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় এই প্রদেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৮ জন শিশু ভারী বৃষ্টিপাতের সময় বাড়ির দেয়াল ও ছাদ ধসে মারা যায়।
এর আগে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থা জানায়, নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু ও তিনজন নারী রয়েছেন। এছাড়া আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
সংস্থাটি আরও জানায়, নিহতদের ১০ জনই উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোয়াত উপত্যকার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নদীর তীরে অবস্থান করা পরিবারের ওপর হঠাৎ পাহাড়ি ঢল নেমে আসে।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় বন্যায় ৫৬টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে বলেছে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার উচ্চ ঝুঁকি থাকবে।
গত মাসেও পাকিস্তানে প্রবল ঝড়ে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের বসন্তকালজুড়েই দেশটিতে একাধিক চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা দেখা গেছে। এর মধ্যে শক্তিশালী শিলাবৃষ্টিও ছিল।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। দেশটির ২৪ কোটিরও বেশি জনগণ ক্রমবর্ধমান হারে চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।