শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জুন, ২০২৫ (বাসস): ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে বড় সাফল্য অজর্ন করেছে অস্ট্রেলিয়া। সরকারি এক ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে, ডিজিটাল বয়স যাচাই প্রযুক্তি ‘গোপনীয়তা রক্ষা করে কার্যকর ও নির্ভরযোগ্যভাবে’ কাজ করতে সক্ষম।
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে রক্ষা করতে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। গত নভেম্বরে পাস হওয়া এ আইন চলতি বছরের শেষ নাগাদ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং এক্স-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো যদি এ আইন মানতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদেরকে পাঁচ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো আইনটিকে ‘অস্পষ্ট, তাড়াহুড়ো এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছে।
সিডনি থেকে এএফপি জানিয়েছে, সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বাধীন বয়স নিশ্চয়তা প্রযুক্তি ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী ফলাফলে দেখা গেছে, বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ট্রায়ালের প্রকল্প পরিচালক টনি অ্যালেন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় এই ব্যবস্থা চালু করতে কোনো বড় প্রযুক্তিগত বাধা নেই। এই সমাধানগুলো প্রযুক্তিগতভাবে বাস্তবায়নযোগ্য, বিদ্যমান সেবার সঙ্গে নমনীয়ভাবে একত্রিত করা যায় এবং অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষা করতে পারে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার নাইন নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে অ্যালেন সতর্ক করে বলেন, শিশুদের এই যাচাইকরণ পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়া ঠেকানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি না, কোনো ব্যবস্থাই শতভাগ নির্ভুল হতে পারে।
ট্রায়াল প্রতিবেদনে জানানো হয়, বয়স যাচাইয়ের জন্য অনেক পদ্ধতি থাকলেও সব পরিস্থিতিতে উপযোগী এমন একক সমাধান নেই। এই ট্রায়ালে ৫৩টি সংস্থা অংশ নিয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, এসব প্ল্যাটফর্ম শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন আইন অন্যান্য দেশও পর্যবেক্ষণ করছে। অনেকেই এখন নিজেদের দেশে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
এদিকে, গ্রিস চলতি মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে ‘ডিজিটাল প্রাপ্তবয়স্ক’ বয়স নির্ধারণ করা হয় এবং বাবা মায়ের সম্মতি ছাড়া শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।