শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জুন, ২০২৫ (বাসস): পেরুর রাজধানী লিমায় গ্যাস পাইপ বসানোর সময় এক হাজার বছর পুরোনো একটি মমি আবিষ্কার করেছেন গ্যাসকর্মীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট গ্যাস কোম্পানি। এটি দেশটিতে প্রাক-হিস্পানিক যুগের একটি সমাধির সাম্প্রতিকতম সন্ধান।
লিমা থেকে এএফপি জানায়, ক্যালিদ্দা গ্যাস কোম্পানির বিজ্ঞানসমন্বয়ক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ হেসুস বাহামোন্দে সাংবাদিকদের জানান, ‘কর্মীরা মাটির ৫০ সেন্টিমিটার (২০ ইঞ্চি) গভীরে একটি হুয়ারাঙ্গো গাছের গুঁড়ি খুঁজে পান, যা অতীতে সমাধিচিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হতো।’
তিনি জানান, ‘মমিটি এক কিশোরের, যার বয়স আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এটি ১.২ মিটার গভীরে পাওয়া যায়।’
বাহামোন্দে বলেন, ‘সমাধি ও তাতে থাকা জিনিসপত্রের ধরন থেকে বোঝা যায় এটি ১০০০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কোনো সময়ের সংস্কৃতির অংশ।’
সোমবার উদ্ধারকৃত মমিটি বসা অবস্থায় ছিল, হাত ও পা ছিল বাঁকানো, এবং সেটি একটি কাপড়ের মোড়কে আবৃত ছিল। সেই মোড়কের ভেতর ছিল ক্যালাবাশ ফলের খোসা।
মমিটির পাশে কয়েকটি মাটির পাত্র পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে, প্লেট, বোতল ও জগ। এসব পাত্রে জ্যামিতিক নকশা ও জেলেদের প্রতিকৃতি আঁকা রয়েছে।
পুরো সমাধিটি এবং এর নিদর্শনসমূহ ইনকা-পূর্ব চাংকাই সংস্কৃতির, যারা ১১ থেকে ১৫ শতাব্দীর মধ্যে লিমা অঞ্চলে বসবাস করত।
উত্তর লিমার পুয়েন্তে পিয়েদ্রা জেলায় একটি সড়ক খননের সময় মাটি সরানোর প্রক্রিয়ায় এগুলো পাওয়া যায়।
পেরুতে যেকোনো মাটির নিচে কাজ করার আগে সম্ভাব্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে প্রত্নতত্ত্ববিদ নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২০০৪ সাল থেকে ক্যালিদ্দা কোম্পানি ২২শ'র বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেছে।
লিমায় ৫শ'ও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু ‘হুয়াকা’ বা আদিবাসী কেচুয়া ভাষায় প্রাচীন কবরস্থান।