শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫ (বাসস): ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দুইশ’র বেশি ব্যক্তির পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এতে মরদেহের জন্য স্বজনদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অনেকটা অবসান ঘটছে।
আহমেদাবাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গত বৃহস্পতিবার লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান আহমেদাবাদের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলে বিমানের ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন জীবিত উদ্ধার হন। দুর্ঘটনায় বিমানের বাইরে আরও অন্তত ৩৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা প্রাণ হারান।
নিহতদের পরিচয় শনাক্তে তাদের স্বজনরা ডিএনএ নমুনা প্রদান করে আসছেন, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গুজরাট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেন, বিকেল ২টা পর্যন্ত ২০২টি ডিএনএ নমুনা মিলেছে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই আগুন ধরে যায়। পরে মেডিক্যাল স্টাফদের একটি আবাসিক ভবনে তা বিধ্বস্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেহাবশেষ দেখা যায়।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখনও দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি। ইতোমধ্যে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা তদন্তে যোগ দিয়েছেন।
তদন্তকারীরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত দুটি ব্ল্যাক বক্স — ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার বিশ্লেষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো চলতি বছর একটি ল্যাবরেটরি উন্নত করেছে। সেখানে ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করা যায়।
দুর্ঘটনার পর ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমানের ত্রুটিবিচ্যুতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার রাতে সংস্থাটি জানায়, প্রাথমিকভাবে বিমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বড় ধরনের কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান ও এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা বিদ্যমান নিরাপত্তা মান অনুযায়ীই রয়েছে।