শিরোনাম
ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৫(বাসস): হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারকে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতি (ইএবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এসব দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বীমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি করা, বীমাবহির্ভূত রপ্তানিকারকদের ক্ষতিপূরণের জন্য বিশেষ সরকারি তহবিল গঠন, আধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ, ওষুধ খাতের জন্য আলাদা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গুদাম নির্মাণ, নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম স্থাপন এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্গো ভিলেজের গুদাম ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়তা নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকারের উচিত দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা, ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দরের কার্গো পরিচালনা ব্যবস্থায় নিরাপত্তা জোরদার করা।
তিনি বলেন, ‘রপ্তানিকারকদের ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। সরাসরি ক্ষতি হয়েছে আগুনে পুড়ে যাওয়া পণ্যে, তবে এটাই একমাত্র ক্ষতি নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়া কাঁচামাল উৎপাদন বন্ধ করবে, ফলে আরও বড় ক্ষতি হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সদস্যদের কাছে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছি ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য, তবে পূর্ণ চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি। একটি স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
ইএবি সভাপতি দ্রুত তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন সম্পন্ন করে ইএবির ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিজিপিএমইএ-সহ চামড়া, ওষুধ, গয়না, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক, রেশম, হস্তশিল্প ও অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাতের সংগঠনসমূহ যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ।