শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): নেত্রকোণায় একটি শিশু মৃত্যুর পুরোনো ঘটনাকে রাজনৈতিক কারণে মৃত্যু দাবি করে অপপ্রচার করা হয়েছে বলে শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ‘যুবলীগ নেতাকে না পেয়ে, তার ১০ বছরের ছেলেকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখছে’-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামীপন্থি পেজ বা ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হয়েছে। তবে বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, গাছে ঝুলন্ত শিশুর নাম আরাফাত। নিহত আরাফাত ওই গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। হেলাল মিয়ার সাথে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চ করে ‘নাহিদুল৩৫৪০’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৩১ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর ঘটনার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। ভিডিওর ক্যাপশনে এটিকে রাজনৈতিক মৃত্যু এমন কিছু দাবি করা হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক যায়যায়দিন ওয়েবসাইটে গত ৩১ আগস্ট ‘দুর্গাপুরে গাছে ঝুলে ছিল ৯ বছরের শিশুর মরদেহ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৩০ আগস্ট নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মো. আরাফাত (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরাফাত ওই গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে মেজো এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র। নিহতের বাবা হেলাল মিয়া বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ ছিল এবং মাথায় একটু সমস্যা ছিল। কথাবার্তা শুনত না। তাকে না পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি করছিলাম। কারণ সে আগেও প্রায়ই গাছে উঠে বসে থাকত। পরে আমার এক ভাবি গিয়ে দেখে গাছে ঝুলে আছে। এই ঘটনায় দৈনিক কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
নেত্রকোণায় শিশু মৃত্যুর পুরোনো ঘটনাকে রাজনৈতিক কারণে মৃত্যু দাবিতে অপপ্রচার করা হয়েছে বলে শনাক্ত করেছে বাংলাফ্যাক্ট।
'বাংলা ফ্যাক্ট' প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ পিআইবি'র ফ্যাক্টচেক, মিডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস টিম, যারা নিয়মিত ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই করে সত্য তুলে ধরে এবং গণমাধ্যম ও সংবাদ নিয়ে গবেষণা করে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।