শিরোনাম

ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকায় কিশোর শান্তকে (১৬) হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩০ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, বিশেষ কায়দায় বানানো নাইলনের রশি এবং ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম।
মুহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৭ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে তুরাগ থানার ১৭ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি ফাঁকা জমিতে অজ্ঞাত পরিচয় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। পরে নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে মরদেহ শান্ত (১৬) নামে একজন রিকশাচালকের বলে শনাক্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় প্রথমে মূল পরিকল্পনাকারী সামিদুল হক মনাকে (৪২) কাফরুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. রবিউল ইসলাম রানা (২০), হজরত আলি (৪৫) ও মো. নয়ন মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডিসি মুহিদুল বলেন, অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শান্তকে ৭ নম্বর ব্রিজের কাছে নিয়ে যায় তারা। সেখান থেকে কৌশলে ফাঁকা জমিতে নিয়ে গিয়ে রবিউল ইসলাম রানা নাইলনের রশি দিয়ে গলা চেপে ধরে এবং সামিদুল হক মনা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিম শান্তকে হত্যা করে।
পরে তারা অটোরিকশাটি নিয়ে ভাষানটেকের দিকে চলে যায়। হজরত আলি ও নয়ন মিয়ার সহায়তায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নয়ন মিয়ার কাছে রিকশাটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
তুরাগ থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয় চলছে এবং গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেও বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।