শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সংযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে তিনটি স্পটে মোবাইল কোর্টের বিশেষ অভিযান পরচিালিত হয়।
রবিবারের এ অভিযানে অবৈধভাবে স্থাপিত বিপুল সংখ্যক আবাসিক গ্যাস চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অবৈধভাবে ব্যবহৃত পাইপলাইন ও সরঞ্জামাদি অপসারণ করা হয়।
অভিযানের প্রথম স্পট ছিল জাঙ্গাল বাসস্ট্যান্ড-এর আওতাধীন এলাকা (জাঙ্গাল, বারপাড়া, বন্দর)। এই স্পটে আনুমানিক এক হাজার ডাবল চুলার আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। যার লোড ছিল প্রায় ৭শ’ ঘনফুট/ঘন্টা।
এখান থেকে প্রায় ১৮০ ফুট ২ ইঞ্চি এম এস পাইপ, ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি এম এস পাইপ, ০৫টি রেগুলেটর, ০১টি ২ ইঞ্চি ভাল্ব এবং ০৪টি লক উইং কক অপসারণ করা হয়। এই স্পটে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন অবৈধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
দ্বিতীয় স্পট ছিল কেওডালা, বন্দর (অলিম্পিক বিস্কুট গলি)। এই স্পটে আনুমানিক ৫শ’ ডাবল চুলার আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, যার লোড ছিল প্রায় ৩৫০ ঘনফুট/ঘন্টা। অভিযানে ৪০ ফুট ২ ইঞ্চি এম এস পাইপ, ৫শ’ ফুট ৩/৪ ইঞ্চি এম এস পাইপ, ০১টি ২ ইঞ্চি ভাল্ব, ১২টি রেগুলেটর, ০৫টি লক উইং কক এবং ০২টি পাইপ রেঞ্চ অপসারণ করা হয়। এই স্পটেও আনুমানিক ৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছিল।
তৃতীয় স্পট ছিল মদনপুর বাস স্ট্যান্ড, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ। এই স্পটে আনুমানিক ৩শ’ ডাবল চুলার আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই স্পটের মোট লোড ছিল ৪৯০ ঘনফুট/ঘন্টা, যার মধ্যে আবাসিক লোড ৭০ ঘনফুট/ঘন্টা এবং বাণিজ্যিক লোড ৪২০ ঘনফুট/ঘন্টা ছিল। এখান থেকে ১৫ ফুট ২ ইঞ্চি এম এস পাইপ, ৫০ ফুট ১ ইঞ্চি এম এস পাইপ, ০১টি রেগুলেটর, ০২টি স্টার বার্নার (৪৫ ঘনফুট) এবং ০১টি ২ ইঞ্চি ভাল্ব অপসারণ করা হয়। এই এলাকার অবৈধ বিতরণ লাইনের আনুমানিক দৈর্ঘ্য ছিল ১.৫ কিলোমিটার।
এই অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের অপরাধে সর্বমোট এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে কোনো মামলা বা এফআইআর দায়ের করা হয়নি। প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইনের সংযোগ উৎসে স্থায়ীভাবে কিলিং করা হয়েছে, যাতে পুনরায় অবৈধ সংযোগ স্থাপন করা না যায়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের এ অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এ ধরনের অভিযান সরকারি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।