শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকায় ‘মোটরযান গতি সীমা নির্দেশিকা ২০২৪’ সম্পর্কে চালক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণমাধ্যমভিত্তিক একটি প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস)-এর আওতায় এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর কারিগরি সহায়তায় মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪ বিষয়ক গণসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের প্রচারণা উপকরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিআইজিআরএস ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর ও অতিরিক্ত সচিব (অব.) মো. আবদুল ওয়াদুদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান, বিআরটিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিচালনা) মেজর মো. নিজাম উদ্দিন, ডিটিসিএ’র জ্যেষ্ঠ সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মো. মামুনুর রশিদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জিয়াউর রহমান, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলামের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা নীলা, এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন।
ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ৩০, ৪৫, ৬০ ও ৯০ সেকেন্ড সময়ব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি করা হয়েছে, যা ওয়েবসাইট, ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সড়কের ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রচার করা হবে। এসব ভিডিওচিত্রে অংশ নিয়েছেন রোড দুর্ঘটনায় নিহত তরুণ সংগঠক ও রাজনীতিক আরিফুল ইসলামের সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা নীলা। তিনি নিজের ও সন্তানের প্রিয়জন হারানোর বেদনাময় অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সড়কে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া সড়কের পাশে সাইনেজ হিসেবে প্রদর্শনের জন্য দুটি ভিন্ন ডিজাইনের পোস্টার তৈরি করা হয়েছে, যেখানে গতিসীমা মেনে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রচারণা উপকরণ বিআরটিএ, ডিএমপি ও ডিটিসিএ-এর মাধ্যমে প্রচার করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটির সড়কগুলোকে নিরাপদ করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।’
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। এ ক্যাম্পেইন চালক ও জনগণকে সচেতন করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পথচারী, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আরোহীর সংখ্যা বেশি। তাই ফুটপাত প্রশস্তকরণ, জেব্রা ক্রসিং অঙ্কন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গতিসীমা সচেতনতা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিএ, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ, সিয়াম, ডেভেলপমেন্ট একটিভিটিজ সোসাইটি (ডাস), ব্র্যাক, নিরাপদ সড়ক চাই, সিআইপিআরবি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।