বাসস
  ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:২৬

জুলাই চেতনায় ঐক্যের ডাক এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের

রাজধানীর ফারইস্ট মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও ইউনাইটেড পিপলস (আপ বাংলাদেশ)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা হয়। ছবি : সংগৃহিত

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : ক্ষমতা নয়, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত উল্লেখ করে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, যারা অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন বা অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ যেন রাজনীতির স্বার্থে বিস্মৃত না হয়। 

রাজধানীর ফারইস্ট মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও ইউনাইটেড পিপলস (আপ বাংলাদেশ)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই চেতনার ভিত্তিতে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন- আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারাও সভায় অংশ নেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন- এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। বক্তব্য রাখেন- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. ওয়ারেসুল করিম বুলবুল, আপ বাংলাদেশের আহবায়ক আলি আহসান জুনায়েদ, এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আপ বাংলাদেশের সদস্য সচিব আরেফিন হিজবুল্লাহ, প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, এবি পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদার ভুইয়া।

সভায় মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যের শুরুতে শহীদ কিশোর জুলাই আনাসের লেখা চিঠি পাঠ করে শোনান। তিনি বলেন, ‘শহীদ আনাসসহ হাজারো শহীদ কেবল ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য প্রাণ দেয়নি, দিয়েছে অন্যায় ও দমননীতির বিরুদ্ধে গণমানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য।’ 

তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনের পর সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে- এ ধারণা আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ 

সভাপতির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাইয়ের সব শক্তিকে ভুল সংশোধন করে আবার রাজপথে নামতে হবে। আবু সাঈদ যে জন্য জীবন দিয়েছে, সেই আদর্শকে ধরে রেখে নতুন লড়াই শুরু করতে হবে। 

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, এবারের নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন নয়- এটি ৪৬ বা ৭০ সালের মতো ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ এবার দেশপ্রেমের পরীক্ষায় নামবে। 

ড. ওয়ারেসুল করিম বুলবুল বলেন, এই আয়োজন তখনই মাইলফলক হয়ে উঠবে, যদি এখান থেকে একটি সত্যিকার জনতামুখী জোট গঠনের পথে এগোনো যায়।

আলি আহসান জুনায়েদ বলেন, হাসিনার ক্ষমতাকে দেবত্ব দেওয়ার প্রতিবাদেই দেশবাসী রাজপথে নেমেছিল। জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়াই অভ্যুত্থানের আসল চেতনা, আর কখনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ফিরতে দেওয়া হবে না।

ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, অভ্যুত্থানপন্থী সব শক্তিকে এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।

আরেফিন হিজবুল্লাহ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মূলে ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার জিহ¦া। তার বক্তব্য শুনলেই মনে হতো, এসব শোনার চেয়ে জঙ্গলে থাকা ভালো। তিনি বলেন, জনতার ক্ষমতায়নই জুলাই অভ্যুত্থানের মূল কথা।