বাসস
  ২২ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২৬

২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমানো জরুরি

আজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাসস

রংপুর, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

আজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) রংপুর সার্কেল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে ১০০টি হেলমেট বিতরণ করা হয়।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার রংপুর বিভাগীয় পরিচালক আবু জাফর।

বিআরটিএ রংপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিকুল আলম সরকার দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘দক্ষ চালকের বিকল্প নেই। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে।’

তিনি বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো বন্ধ এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু জাফর বলেন, ‘প্রতি বছর এ দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন ও আইন প্রণয়ন করা হলেও নানা কারণে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালক ও পথচারীর অসতর্কতা—এসবই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।’

তিনি মনে করেন, শুধু আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়, বরং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনা কমাতে সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হচ্ছে।’

তিনি সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্টো পথে গাড়ি চালানো, অপ্রয়োজনে ওভারটেকিং, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করা এবং ট্রাফিক আইন অমান্যের প্রবণতাকে চিহ্নিত করেন।

এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।

আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের ট্রাফিক ও অপারেশন শাখার পুলিশ সুপার বিএম আশরাফুল উল্লাহ তাহের, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মো. মারুফ আহমেদ এবং রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. জয়নাল আবেদিন।