শিরোনাম
ঢাকা, ২১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে আজ তিনটি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ উদঘাটন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে প্রথম অভিযানটি গণপূর্ত অধিদপ্তরে পরিচালিত হয়। অভিযোগ ছিল যে, কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দরদাতাদের সাথে যোগসাজশে প্রাক্কলন ফাঁস ও অনিয়ম ঘটাচ্ছেন। এনফোর্সমেন্ট টিম প্রাথমিকভাবে তথ্য যাচাই করে দেখতে পান, ঢাকা মেট্রো জোন কর্তৃক আহ্বানকৃত ৩টি প্রকল্পের দাখিলকৃত দর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয়ের প্রায় কাছাকাছি। যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য অত্যন্ত গোপনীয়, সাধারণ দরদাতাদের কাছে এ ধরনের তথ্যের কোনও সুযোগ নেই। তাই প্রাথমিকভাবে এটি নির্দেশ করে যে, অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকতে পারে।
এদিকে, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী থেকে পরিচালিত অপর একটি অভিযানে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা প্রদানে হয়রানি এবং নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ যাচাই করা হয়। অভিযানকালে টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করে সরেজমিনে সেবাগ্রহীতাদের বক্তব্য গ্রহণ করে।
দুদক টিম হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নানাবিধ অসঙ্গতি দ্রুত সমাধানের জন্য অনুরোধ করে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।
এছাড়া, দুদকের জেলা কার্যালয়, দিনাজপুর থেকে পরিচালিত তৃতীয় অভিযানে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের প্রধান সহকারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে খতিয়ান এন্ট্রি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাতসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ যাচাই করা হয়।
অভিযানকালে টিম খতিয়ান এন্ট্রি ফি, ৪২(ক) ধারার মামলা রেজিস্ট্রারের শুনানির গরমিল এবং অফিসের খরচ ও বিল ভাউচারের নমুনা সংগ্রহ করে অস্বাভাবিক লেনদেন শনাক্ত করে। এছাড়াও, পরবর্তীতে সেবা প্রত্যাশীদের যাতে কোনো হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, অভিযানে দিনাজপুর জেলার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস, বিরামপুরে ১৮ একর সরকারি খাস জমি টাকার বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে দেওয়া ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ যাচাই করা হয়। অভিযানে প্রাথমিকভাবে দালালের দৌরাত্ম্য এবং সরকারি খাস জমি ব্যক্তিগত মালিকানায় রেকর্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক টিম জানান, সব সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।