বাসস
  ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩১

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত রাখা জরুরি: নজরুল ইসলাম খান

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা নজরুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নেতাদের সঙ্গে বিএনপির লিঁয়াজো কমিটির সভা হয়। পরে ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকতে পারে, সেটি ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন প্রভাব চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়, যাতে মনে হয় প্রতিষ্ঠানটি কেউ জবরদখল করে নিয়েছে। সেটা কৌশলে হোক বা সরাসরি। আমরা তার বিপক্ষে।

তিনি বলেন, আমরা যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাই, তাহলে চেষ্টা করব যাতে কোন প্রতিষ্ঠানে জবরদস্তি না হয়। সবাই যেন ইচ্ছা অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে।

আমরা ক্ষমতায় এলে নিশ্চিত করব, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারো দখলে থাকবে না এবং প্রকৃত শিক্ষার অগ্রগতি নিশ্চিত হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেই দল, যারা সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজনকারী দল এবং মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সংবিধানে সংযুক্ত করেছিলাম। এবারও সংস্কার কমিশনে এই অবস্থান নিয়েছি এবং তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মাদরাসা শিক্ষার সম্প্রসারণ চাই। কিন্তু মাদরাসা শিক্ষাঙ্গণ কোন নির্দিষ্ট দলীয় রাজনীতির কেন্দ্রে পরিণত হোক, তা চাই না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম, কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী বা শরিয়তবিরোধী কোন আইন প্রণীত হবে না। আমরা রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, ইসলামপন্থীসহ সকল মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। হাটহাজারী মাদরাসায় গিয়েছি, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীরের সঙ্গে কথা বলেছি, ছারছীনা পীর সাহেবের সঙ্গে ও আলিয়া ধারার মুরব্বিদের সঙ্গেও দেখা করে আলোচনা করেছি।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, দেশের সকল জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিভক্তিহীনভাবে দেশ পরিচালনা করা।

এর আগে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ।