শিরোনাম
ঢাকা, ৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও মশলা বাটার কাঠের বাটলা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে মামলায় মির্জা সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বেগম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের পেশকার সাইফুল ইসলাম বাসস'কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদীর ছোট বোন ফাতেমা নাসরিনের (৪৫) সঙ্গে ২০০৪ সালে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক আসামি সাখাওয়াতের সাথে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে সামিহা তাবাসসুম (১৭) নামে এক সন্তান ছিল। স্বামী সাখাওয়াত বিভিন্ন সময়ে ঠাকুরগাঁও শহরে থাকা স্ত্রীর পৈত্রিক জমি বিক্রয় করে বিবাদীকে এক কোটি টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য বলতো। তবে যৌতুক না দেওয়ায় দিন দিন স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেলে ভুক্তভোগী ফাতেমা বাদী হয়ে পঞ্চগড় জেলার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামী জামিনে এসে পুনরায় তার পূর্বের দাবিকৃত যৌতুকের টাকার জন্য ফাতেমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৮ মার্চ ভুক্তভোগী স্ত্রী ফাতেমা নাসরিন (৪৫) মোহাম্মদপুর থানাধীন হুমায়ন রোডস্থ বাসায় থাকাকালে স্বামী মির্জা সাখাওয়াত হোসেন তার পূর্বের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা চায়। এসময় তার স্ত্রী ফাতেমা প্রতিবাদ করলে ধারালো বটি ও মশলা বাটার কাঠের বাটলা দিয়ে ভুক্তভোগীর মাথা, হাত ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড়বোন আরজিনা বেগম (৫২) রাজধানীর আদাবর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।