শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আজ আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিশু একাডেমি আয়োজিত দুই মহান কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান শিশু বন্ধু জুনাইরা রহমান মিথির বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ বেগম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শিশুদের উদ্দেশে বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে উন্মেষ সে ধারণাও এক সময় কবি নজরুলের কথার মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রচলিত হয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ সৃষ্টিতে রবীন্দ্র এবং নজরুলের অবদান অনস্বীকার্য। আমরা গর্ব করতে পারি, আমরা এমন একটি জাতি, যে এমন দুজন কবিকে আমরা পেয়েছি। এটা আমাদের সার্থকতা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুজন বিশিষ্ট নজরুল ও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী যথাক্রমে ফেরদৌস আরা এবং অনিমা রায়। তারা কবি কাজী নজরুল এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিভক্ত না করে দু'জনকেই সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার বিষয়ে জোর দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক দিলারা বেগম বলেন, আজকের এই বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় আমরা একত্রিত হয়েছি আমাদের দুই মহান কবি- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম এবং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করতে। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতাই নয়-এটি হলো আমাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রকাশ।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক শিশু ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাপর্ব শেষে শিশুদের রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। সব শেষে ছিল শিশু অ্যাকাডেমির শিশুশিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।