শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): সমাজের তরুণ জনগোষ্ঠী নিয়ে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজন করেছে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।’ আজ বুধবার ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এ সমাবেশ রাজধানীর নয়া পল্টনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারেক রহমানের ‘দিল্লি নয়, পিণ্ডি নয়, নয় অন্যকোনো দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের সমাবেশের সমাপ্তি হয়।
আজকের সমাবেশে তরুণদের উপস্থিতির আধিক্য দেখা গেছে। সমাবেশ স্থলের অনেকটা অংশ জুড়ে ছিল তরুণরা। তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তরুণদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় তাদের সাথে কথা বলে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণেরা আজকের এ সমাবেশ যুক্ত হয়েছেন। তাদের চোখে মুখে এক ধরনের উচ্ছ্বাস। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে সমাবেশে এসেছেন অনেকই তবুও ক্লান্তির কোন চাপ নেই তাদের মধ্যে। চার পাঁচজন একসাথে হলেই হঠাৎ স্লোগান দিচ্ছেন, ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশ; বাংলাদেশের প্রাণ, তারেক রহমান। তারেক রহমানকে ঘিরেই কেবল তাদের কথাবার্তা, আলোচনা।
বিকেল সাড়ে তিনটায় সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকেই নয়া পল্টনে এসে জড়ো হয় নেতাকর্মীরা। বিকেল পৌঁনে ছয়টা পর্যন্ত নয়াপল্টন এলাকায় ছিল নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি। তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এলাকা থেকে তারুণ্যের সমাবেশ এসেছেন শাকিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের শাসন দেখেছি। এ দেশর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি বিগত বছরগুলোতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আমাদের সংগ্রাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তরুণদের নিয়ে তারেক রহমানের যে কর্মপরিকল্পনা তা আমাদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। বাংলাদেশর তরুণ সমাজ আজ তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
তারেক রহমান যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়ানো ছিল একদল তরুণ। সবার গায়ে ছিল হলুদ টি শার্ট। আর মাথায় ছিল একই রঙের ক্যাপ। সবাই মনোযোগী শ্রোতার মত দাঁড়িয়ে তারেক রহমানের ভাষণ শুনছিলেন।
তারেক রহমান আজকের ভাষণে তরুণদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর কথাসহ তরুণদের নিয়ে দেশ গড়ার নানান বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তারেক রহমানের ভাষণ শেষে তরুণদের ওই দলের এক তরুণ অন্যদের বলছিলেন, ‘বাংলাদেশর তরুণ সমাজ, বেকার সমাজ নিয়ে বিএনপির যে পরিকল্পনা তা অন্যকোনো দলের নেই। বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনায় তরুণ সমাজের কথা বার বার উঠে এসেছে।’ তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, তারা সবাই সিলেট থেকে আজকের সমাবেশে এসেছেন।
সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ বলেন, ৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে এ দেশে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে ত্যাগ শিকার করেছে তা অবর্ণনীয়। তারেক রহমান দলকে সঠিকভাবেই পরিচালিত করেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন। তার দেশে ফেরা নিয়ে তরুণরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম তা পূর্ণতা পাবে।