ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির অবদানকে জিডিপিতে যুক্ত করতে আশু ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পরিবেশগত স্থায়িত্বসহ অনেক সুবিধা বয়ে আনতে পারে।
কানাডার সেন্ট্রাল আলবার্টা থেকে বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের এক ভার্চুয়াল নির্বাহী সভায় বক্তারা সুনীল অর্থনীতির অব্যাহত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবদের উদ্যোগটিকে এগিয়ে নেয়ায় ধন্যবাদ  জানান।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় সুনীল অর্থনীতির অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে প্রতিষ্ঠানিকীকরণ, দেশে কৃষি ও সমুদ্র সাংবাদিকতা জোরদার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অগ্রাধিকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলাসহ সংগঠনের ধারাবাহিক কার্যক্রমের উপর আলোচনা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাবুল,  সহ-সভাপতি খায়রুল আহসান মানিক (ইউএনবি ও এটিএন) সম্পাদক মো. ফিরোজ মিয়া (দৈনিক ভোরের সূর্যোদয়), যুগ্ম সম্পাদক শামসুল হাবিব (দৈনিক যুগান্তর), কোষাধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন (বাসস), এসরার জাহিদ খসরু (এএনভি ) ও সাইফুর হাসান (আইটি )।
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ বলেন, সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। সুনীল অর্থনীতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির জন্য এই সংস্থাগুলি বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশ বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পরিবেশগত স্থায়িত্বসহ উল্লেখযোগ্য সুবিধা বয়ে আনতে আমাদের বৈদেশিক নীতিও ঢেলে সাজাতে হবে।
তিনি প্রবাসীদের উদ্যোগগুলোর প্রতি নৈতিক সমর্থন আদায়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী ও পরিবেশ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সাক্ষাৎ ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি স্টেপ টু হিউম্যানিটি এসোসিয়েশনের সহযোগে ১৯ উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে পরিকল্পিত কাজগুলো তুলে ধরার অনুরোধ জানান।