বাসস
  ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৫১

সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির ২৫তম সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৩ এপ্রিল ২০২৩ (বাসস) : সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির ২৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মুহাম্মদ মোশারফ হোসাইন, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সুপ্রিমকোর্টের লিগ্যাল এইড অফিসার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ফারাহ মামুন, সুপ্রিমকোর্টের  এডভোকেট মাহজাবিন রব্বানী দিপা প্রমূখ অংশ নেন।  পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে অংশ নেন ল' ল'রিপোর্টার্স ফোরামের সহ সভাপতি বাসস এর সাংবাদিক দিদারুল আলম দিদার, যুগ্ম সম্পাদক জাগো নিউজের সাংবাদিক ফজলুল হক মৃধা ও কোষাধ্যক্ষ দৈনিক বাংলার সাংবাদিক আবদুল জাব্বার খান।
দায়িত্ব গ্রহনের পরপরই সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দার
সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড-এর কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। বিচারপতি নাইমা হায়দারের সভাপতিত্বে "সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে বিজ্ঞ প্যানেল আইনজীবীদের ভূমিকা" শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৫তম সভায় লিগ্যাল এইড এর কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা এবং অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের কাছে এর সুফল পৌঁছে দিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দারকে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গত ১২ জানুয়ারি নিযুক্ত করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমকে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ওইদিনই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নিয়োগ কার্যকর হয়।
সরকারি খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সেবা দিতে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির অফিসটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি। এর আগেই জাতীয় আইনগত সহায়তা আইনের অধীনে  সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বিচারপতি মো. নিজামুল হক। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি নিজামুল হক। এ কারণে তার স্থলে ১৮ ফেব্রুয়ারি নতুন চেয়ারম্যান হন বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম। গত বছরের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগে তিনি নিয়োগ পান। তখন এই পদে ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমকে মনোনীত করা হয়। গত বছর ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। এরপরই বিচারপতি নাইমা হায়দারকে এই পদে মনোনীত করলেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্রথম নারী চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দার।
সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত আইনি সেবা পেয়েছেন ২২ হাজার ৫২১ জন বিচারপ্রার্থী। জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ, দেশের সব নিম্ন আদালত, শ্রম আাদালতে সরকারি খরচায় অসচ্ছল জনগোষ্ঠীকে লিগ্যাল এইড দেয়া হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা ক্ষুদ্র জাতি সত্তা সম্প্রদায়ের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালায় ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে।
২০০০সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রনয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়