বাসস
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:০১

আজ রোকেয়া দিবস

ছবি: বাসস

রংপুর, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আজ রোকেয়া দিবস। নারী জাগরণের অগ্রদূত, নারী অধিকার আন্দোলনের আলোকবর্তিকা ও সাহিত্যিক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্ম ও ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। 

বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বরে জন্ম এবং ১৯৩২ সালের একই দিনে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুর জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্মরণ করা হচ্ছে এই মহীয়সী নারীকে।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে নারী জাগরণের এই পথিকৃৎ এর জন্ম হয়। নারী শিক্ষার প্রসারে তাঁর কাজ সমাজে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে। রক্ষণশীল সামাজিক পরিবেশ ও পিতার কঠোর শাসনে বেড়ে উঠলেও তিনি গোপনে শিক্ষা গ্রহণ ও সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান। 

১৯০২ সালে ‘নবপ্রভা’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘পিপাসা’ লেখাটি তাঁকে পরিচিতি এনে দেয়। ১৯০৫ সালে প্রকাশিত তাঁর লেখা ‘সুলতানার স্বপ্ন’-কে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে এক মাইলফলক হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী ও মতিচুর তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার কারণেই দেশের নারীরা পর্দার অন্তরাল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে।’

তিনি জানান, শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া গবেষণাগার স্থাপন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করছে।

রংপুরে বেগম রোকেয়ার নামে সরকারি কলেজ রয়েছে। তবে তার নামে থাকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেও সরকারি করার দাবি জানান স্থানীয়রা।

তবে রোকেয়ার জন্মের ১৪৫ বছর পার হলেও অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে তাঁর স্মৃতিচিহ্ন, জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে পৈতৃক বাড়ি। 

পরিবারের দাবি, পায়রাবন্দের প্রায় ৩৫০ বিঘা জমি বহু বছর ধরে বেদখলে রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মাত্র ৩০ শতক জমি সংরক্ষণের জন্য নিলেও বাকি জমির কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি।

রোকেয়ার ভাতিজি রঞ্জিনা সাবের বলেন, ‘রোকেয়ার স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাঁর দেহাবশেষ জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনা জরুরি।’