বাসস
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:০৩

হবিগঞ্জে ৬৫৯ টি মণ্ডপে চলছে শেষ মূহুর্তের সাজসজ্জা

চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহুর্তের কাজ। ছবি: বাসস

/মোহাম্মদ নূর উদ্দিন/

হবিগঞ্জ, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শারদীয় দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে হবিগঞ্জে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহুর্তের কাজ। প্রতিমা তৈরি শেষে এখন চলছে রংতুলি ও আঁচড়ের কাজ। কারিগররা দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা তৈরিতে। তাদের দাবি নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিমাগুলোর কাজ শেষ করা হবে। আর আয়োজকদের দাবি নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে। 

সূত্র অনুযায়ী-শারদীয় দুগাপূর্জা সামনে রেখে হবিগঞ্জে এ বছর ৬৫৯ টি পূজামণ্ডপে এখন চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিটি মণ্ডপেই মাটির কাজ শেষে এখন প্রতিমাগুলোকে রংতুলি দিয়ে সাজানো হচ্ছে। শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। আবার অনেক পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরি শেষে এখন অন্যান্য যাবতীয় কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। শ্রমিকদের দাবি নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে। 

ডাকের কাঠি আর ঢোল বেজে উঠলেই ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়েই আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে।

স্থানীয় প্রতিমা কারিগর কার্তিক পাল বাসসকে জানান, আমি এ বছর ২১টি প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। আমিসহ আমার ছেলেদের নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি ষষ্ঠীর পূর্বেই প্রতিমাগুলো মণ্ডপে পৌঁছে দিতে পারবো। 

অপর কারিগর বিপ্লব পাল জানান, প্রতিটি প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রংতুলি ও আচড়ের কাজ। কঠোর পরিশ্রম করে পূজার আগেই আমাদের প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। 

হবিগঞ্জ পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিহির দাশ জানান, এ বছর জেলায় ৬৫৯টি পূজামন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রশাসন আমাদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছে। আমরা আশা করি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও প্রশাসন সহযোগিতা করলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবো। 

ঝন্টু দাস জানান, আমরা পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি আমদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে আইনশৃংখলার কাজ করাবো। মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি সকলের সহযোগিতায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবো। 

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) প্রবাস কুমার সিংহ জানান, যে কোন ধরনের বিশৃংখলা ঠেকাতে পুলিশ ৩ স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র‌্যাব মাঠে

কাজ করবে। আশা করি সকলের সহযোগিতায় এ বছরও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা ইতিমধ্যে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একাধিক বার মিটিং করেছি।