বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৩

সুনামগঞ্জে হাওরে পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি কৃষকদের 

ছবি : বাসস

সুনামগঞ্জ, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সুনামগঞ্জে হাওরে পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি কৃষকদের। জেলার সদর উপজেলা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার একমাত্র বোরো ফসল আবাদের জমি খরচার হাওরে। কিন্তু, ইজারাদার তাদের মৎস্য আহরণের জন্য বোরো ফসল চাষাবাদের সময় স্লুইস গেইট ছেড়ে দেন। যার ফলে শত শত একর জমি অনাবাদি থেকে যাবে বলে এ অঞ্চলের কৃষকের আশংকা। এমনকি গৌরারং ইউনিয়নের পাশ্বর্তী গ্রাম কামারটুক, গৌরারং, পিলখানা, জগাইর গাঁও এলাকার লোকজন তাদের সীমানার অন্তর্গত খাসিয়ামার খালের পানি জমি চাষাবাদের জন্য ব্যবহার করতে গেলে ইজারাদারেরা তাদের বাঁধা দেন। ইজারাদারের লোকজন তাদের সেচ মেশিন চুরি করাসহ কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। এছাড়াও কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইজারাদারের লোকজন।  

খরচার সীমানা নির্ধারণ ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বরাবরে আজ সকাল ১০টায় স্মারকলিপি প্রদান করেন খরচার হাওরপাড়ের কৃষকেরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগাইরগাও গ্রামের সাবেক মেম্বার আলী আহমদ, আব্দুল আজিজ, এ্যাড. শহীদুল হক, বড়ঘাট গ্রামের মইনুল হক, সাবেক মেম্বার নুরুল হক, কামারটুক গ্রামের সোনাপর আলী, হরিনগর গ্রামের আব্দুল হেকিম, বেরীগাও এর আলা উদ্দিন, মনিনড্র অনন্ত চন্দ, উপেন্দ্র নগর এর সমরাজ আলী, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষকদের বোরো ফসলের একমাত্র আবাদ ভুমি খরচার হাওর। যেখানে বোরো ফসলের চাষাবাদ করেন দুই উপজেলার হাজারো কৃষক। কিন্তু, হাওরে ইজারাদারের দৌরাত্ম্যের কারণে হাওরের কৃষকরা পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যার ফলে শত শত একর ফসলি জমি অনবাদি থাকার শঙ্কায় কৃষকগণ। অনাবাদি হয়ে পড়ছে ওইসব জমি। 

সম্প্রতি সীমানা নির্ধারণ এবং কৃষকদের ওপর ইজারাদার কর্তৃক দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন হাওরপাড়ের কৃষকেরা।