বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:০০

মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকারের জানাজা সম্পন্ন

মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি ও বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তম-এর জানাজা আজ বিকেলে রাজধানীর বিএএফ বেইস বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : প্রধান উপদষ্টোর প্রেস উইং

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি ও বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার, বীর উত্তম-এর জানাজা আজ বিকেলে রাজধানীর বিএএফ বেইস বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বেইস বাশারের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম জানাজা পরিচালনা করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধান, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

জানাজার আগে কফিন বহনকারীরা স্লো মার্চ করে তার কফিন মঞ্চে নিয়ে যান এবং এসময় এ কে খন্দকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদানসহ আনুষ্ঠানিক ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় এ কে খন্দকারের জীবনী পাঠ করেন বিএএফ বিমান সচিব এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার পুত্র জাফরুল করিম খন্দকার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তাঁর সামরিক সচিব কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ কে খন্দকারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এ কে খান্দকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ উপলক্ষ্যে তিনটি বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দ্বারা ফ্লাই-পাস্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে তাকে সম্মান জানানো হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খন্দকার শনিবার সকাল প্রায় ১০টা ৩৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ইন্তেকাল করেন।

১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণকারী আবদুল করিম খন্দকার— যিনি এ কে খন্দকার নামে অধিক পরিচিত। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

জাতীয় ইতিহাসের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এ কে খন্দকার ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে পাবনা-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধে উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া তিনি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবেও কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।