বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৬

চট্টগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী বুইস্যা অস্ত্র ও গুলিসহ আটক

চট্টগ্রাম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম বুইস্যাকে আটক করেছে র‌্যাব-৭। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে র‌্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম. মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাট ফিনলে সাউথ সিটি মার্কেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
 
আটক শহিদুল ইসলাম বুইস্যা (৩৫) ভোলা জেলার দৌলতখান থানার ভাণ্ডারী বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার পশ্চিম ষোলশহর এলাকার বদিউল আলম গলিতে বসবাস করছিলেন।

র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. মিজানুর রহমান জানান, বুইস্যাকে আটকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চলছিল। শনিবার দিবাগত রাতে মোটরসাইকেলযোগে ফিনলে সাউথ সিটি শপিংমল এলাকায় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বুইস্যা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ধরতে গেলে তিনি ধস্তাধস্তি কওে কাছে থাকা অস্ত্র বের করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে র‌্যাব সদস্যরা তাকে নিরস্ত্র করার সময় তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরে তাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শহীদুল ইসলাম বুইস্যা দীর্ঘদিন ধরে নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বহদ্দারহাট এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্রের লেনদেন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকার একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটকে বুইস্যা বাহিনী ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করত। সেখানে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানো ব্যক্তি ও প্রতিপক্ষদের আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অন্তত ২০টির বেশি মামলা রয়েছে, যার অনেকগুলো বর্তমানে বিচারাধীন। এসব মামলার মধ্যে একাধিক গুরুতর অস্ত্র ও মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

র‌্যাব জানায়, কিশোর গ্যাং গড়ে তুলে চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারে বুইস্যা নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। আধিপত্য ধরে রাখতে প্রায় ৩০ জনের একটি নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন। চাঁদা আদায় ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারে কথায় কথায় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছিল তার বাহিনীর নিত্যদিনের ঘটনা। চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকার মানুষের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কের নাম ছিল এই সন্ত্রাসী বুইস্যা।