শিরোনাম

লালমনিরহাট, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): টানা চার দিন অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে ভুটান গেল ট্রানজিট পণ্যের ট্রাক। ব্যবসার নতুন দ্বার উন্মোচন হওয়ায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস।
থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা ভুটানের পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এসে পৌঁছানোর চার দিন পর ভুটানের উদ্দেশ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দর ছেড়ে যায়।
আজ বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ট্রাকটি বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে পৌঁছায়।
দীর্ঘ এক বছর ধরে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করায় বন্দরের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব পড়ে। ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য শুরুর ফলে বন্দরে আবার বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ভুটান তাদের ট্রানজিট পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ শুরু করলেও প্রথমেই বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছিল। তবে এতে বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ স্বাক্ষরিত চুক্তি ও প্রটোকলের আওতায় এই পরীক্ষামূলক চালান সফলভাবে ভুটানে পৌঁছানোয় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের লোড-আনলোড, সিএন্ডএফ এজেন্টদের কার্যক্রম, গুদাম ভাড়া-সব মিলিয়ে বন্দরে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার (শুল্ক) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গত শুক্রবার থেকে তিন দেশের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ভুটানের আমদানিকারকদের অনুমোদনের কাগজে বুড়িমারী স্থলবন্দর লেখা থাকলেও ভারতের স্থলবন্দরের নাম উল্লেখ না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়।
বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহার করে ভুটানের আমদানি কার্যক্রম চলমান থাকলে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও তিনি জানান।